বান্দরবানের লামায় বাস-কাভার্ডভ্যান মুখোমুখী সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৩৩

আব্দুল্লাহ আল মামুন,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
আব্দুল্লাহ আল মামুন,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৫৫ অপরাহ্ন, ০৬ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১:০২ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামায় যাত্রীবাহি বাস ও কার্গো ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের চালক নিহত ও অন্তত ৩৩যাত্রী আহত হয়েছে।

বাসে মোট ৪৯জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার পরপরই কার্গোর ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়।বুধবার (০৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে লামা-চকরিয়া সড়কের মিরিঞ্জা মাদানীনগর এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ(ওসি তদন্ত) মোঃ আলমগীর বলেন, খবর পেয়ে আমি সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত লামা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

লামা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার রায়হান জান্নাত বিলকিচ সুলতানা বলেন, বাস দুর্ঘটনায় হাসপাতালে মোট ১৯জন আহত রোগী আসে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবসৃথায় ১০জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ৩জন লামা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ও বাকী ৬জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাসের ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন ও বমু বিলছড়ি মাইজপাড়া এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে মোঃ রফিক এই ২জনের আশংকা প্রকট।

দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির যাত্রীরা জানান, আহত ১৬জন যাত্রীকে বিভিন্ন বাস-জীপে করে চিকিৎসার জন্য চকরিয়া প্রেরণ করা হয়েছে।লামা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া আহতরা হলেন, মোঃ সাহেদ(৬৫), শিব সংকর(৩৭), জেসি মার্মা(২২), আবুল হোসেন(৫৫)। লামা আলীঙ্গন হাসপাতালে ভর্তি নুর মোহাম্মদ(২০), মোঃ হাসান(২৫) ও জাহানারা বেগম(৪৯)। জোৎস্না দে(২০), শুভশ্রী(১০), রূপম চাকমা(২), জহর লাল(৫৫), নুর মোহাম্মদ(২৮), মোঃ সোহেল(৩২), রাজশ্রী দে(২), আনোয়ার হোসেন(৫০), নুরুল আলম(৩০), হাসনা বালা(৬০), মনু আলম(৩৫), তপন (৩৮), সরওয়ার (২৫), মোঃ রফিক(৩০), সরওয়ার আলম(৫৫)। চকরিয়া নিয়ে যাওয়া আরো আহতরা হলেন, বাসের হেলপার মোঃ বেলাল(২৪), মোহছেনা বেগম(৪০), আকিব(১০), জিহান(১৮), জাহানারা বেগম(৪৮), পাখি বালা(৭০)মেরি আক্তার(৪৫)সহ ১৩জন।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) মো. আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাসের চালক মো. আনোয়ার হোসেন আহত অবস্থায় লামা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। আহতদেরকে লামা হাসপাতাল, চকরিয়া হাসপাতাল ও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।