হাতীবান্ধায় ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ

এ,এল,কে খান জিবু, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
এ,এল,কে খান জিবু, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি এ,এল,কে খান জিবু, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:০৫ অপরাহ্ন, ০৫ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মহি উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে চেয়ারম্যানের ছেলে জাহাঙ্গীর ও গ্রাম পুলিশ শামিমের বিরুদ্ধে।

মারধরের শিকার মহি উদ্দিন বর্তমানে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এ ঘটনায় সোমবার সকালে ২জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী মহি উদ্দিন। এর আগে ০৩জুন শনিবার রাতে উপজেলার ভেলাগুড়ি জাওরানী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।অভিযুক্তরা হলেন, ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর ও গ্রাম পুলিশ শামীম। আর ভুক্তভোগী মহি উদ্দিন পূর্ব কাদমা গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে।

জানাগেছে, গত ০৩জুন শনিবার জাওরানী বাজার এলাকায় ভূট্টা আনলোড হচ্ছিলো মহি উদ্দিনের। এ সময় চেয়ারম্যানের ছেলে জাহাঙ্গীর ও গ্রাম পুলিশ শামীম মহিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ছটকে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

সোমবার দুপুরে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাথার যন্ত্রনায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন মহি। মরধরের ফলে তার পায়ে ক্ষত হয়েছে। আর শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে গেছে। এ সময় মহি বলেন, আমাকে জাহাঙ্গীর ও শামিম মারধর করে দেড় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ বিষয়ে আমি যদি কারো সাথে কোন কথা বলি তাহলে আমার মেয়ের মুখে এসিড মারবেন বলে হুমকি দেয়। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গ্রাম পুলিশ শামিমকে নিয়ে দিন রাত মটর বাইকে করে মহড়া দেয় চেয়ারম্যানের ছেলে জাহাঙ্গীর।

নিজেকে চেয়ারম্যান ছেলে নয় চেয়ারম্যান দাবি করে জাহাঙ্গীর। এলাকায় দাপট নিয়ে ঘুরে বেড়ায় জাহাঙ্গীর। চেয়ারম্যানের ছেলে জাহাঙ্গীর ও গ্রাম পুলিশ শামিম ২০২০ সালের ১৬মে নুরুজ্জামান নামে এক যুবককে নির্যাতনের পর ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়। আর সেই মামলা এখনো চলমান আছে। এ দিকে ভেলাগুড়ি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন চলতি বছরের ০৬ ফেব্রুয়ারী ছেলের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ তুলে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেন। সেই মামলাও এখনো চলমান।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের ছেলে জাহাঙ্গীর বলেন, তাকে কোন মারধর করা হয় নাই। তার ঝামেলা শামিমের সাথে। শামিমের সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ শামিমকে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কলটি কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।