উলিপুরের মাহাবুবার সীমান্ত চোরাচালান মামলার পলাতক আসামিকে বাচাতে একটি দুষ্ট চক্রের অভিনব প্রতারণা

এ আর রাকিবুল হাসান,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
এ আর রাকিবুল হাসান,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি এ আর রাকিবুল হাসান,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩:০০ অপরাহ্ন, ০৯ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপকর্মের শিরোমনি মাহাবুবার রহমান নতুন করে প্রতারনার আশ্রয় নেয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই রঘুরায় ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের মোঃ মাহাবুবার রহমান প্রায় দুই ডজনের অধিক মামলায় অভিযুক্ত।

প্রাঃ বিদ্যাঃ সহকারী বিতর্কিত শিক্ষক মোঃ মাহাবুবার রহমানের বিভিন্ন অপকর্মের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত ২৫/০৩/২০২১ তারিখে ভারতীয় রৌপ্য চোরাচালানকালে কৌশলে মাহাবুবার পালাতে সক্ষম হলেও অবৈধভাবে ভারত থেকে পাচারকৃত মূল্যমান রৌপ্য দায়িত্বে থাকা সীমান্তের বিজিবি আটক করতে সক্ষম হন।

আটককৃত রৌপ্য সংশ্লিষ্ট কাস্টমসে জমাপ্রদান করে রাষ্ট্রপক্ষ অর্থাৎ বিজিবি বাদী হয়ে উক্ত মাহাবুবার রহমানকে পলাতক আসামী দেখিয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সালের ২৫ এর (খ) ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন, যার যশোর বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা নাং-৫২/১৪৮, তারিখ ২৫/০৩/২০২১।

সরকার বিদ্যমান করোনার কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। তবে মাঝে অনলাইনে শিক্ষার কার্যক্রম কিছুদিন চালু ছিলো, কিন্তু সেটা নিয়ন্ত্রিত ছিলো উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক।

উক্ত সীমান্ত চোরাচালান মামলার অন্যতম পলাতক আসামি মাহাবুবারকে রক্ষা করতেই উলিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে গোপন করে সরকারি নিয়ম বহির্ভূত সংশ্লিষ্ট খারিজা কামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর একটি দুষ্ট চক্রের লোকজন করোনাকালে কথিত মিটিং এর নাম করে সুকৌশলে ব্যাকডেটে নথিপত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫/০৩/২০২১ তারিখে চোরাচালান মামলার পলাতক আসামি মাহাবুবারকে স্কুলে উপস্থিত দেখানো হয়েছে।

সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পাতানো/কথিত মিটিং কেমনে করতে পারলেন, সেটা নিয়ে উলিপুর শিক্ষা অফিস ও স্থানীয় জনমনে নেতিবাচক প্রক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী জানান, প্রায় সময়েই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়ে থাকেন মাহাবুবার রহমানের বিভিন্ন অপকর্মের খবর।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতারণার মামলা, সীমান্ত চোরাচালান, চুরি, চাঁদাবাজি, কৌশলে উক্ত নিজ গ্রামের মোঃ সাজুল মিয়া, পিতা আঃ হাই, তাকে জুয়ার বোর্ডে জমির বিনিময়ে টাকা ধারদিয়ে সেই টাকাসহ জমি জিতে/লুটে নেওয়া, খুন, ধর্ষণ, মারডাং/রক্তজখম, ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট, মাদক কারবারি, উলিপুরের বরেন্য শিক্ষক আছাব্বর আলী ওরফে খোকা মাস্টার তাঁর কবর দখল করে সেই কবরের উপর বসতঘর নির্মাণ, একাধিক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীঘর ভাংচুর ও উচ্ছেদ, একাধিক জমি-জায়গা দখল, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশদ্রোহী কর্মকান্ড, ঢাকা সাইবার আদালতের আইসিডি মামলা এবং জামাত-বিএনপির পক্ষে সরকার বিরোধী অনলাইন কার্যক্রম চালানোর তথ্য পাওয়া গেছে।