রংপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিকসহ ৪ জন আহত।

আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ন, ১৩ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ২:৩০ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

 রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পাঠানপাড়ায় কিশোরগ্যাং ও মাদক কারবারি দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক সরেজমিন বার্তার (স্টাফ রিপোর্টার) নওশের আলম সুমন। এ ঘটনায় সাংবাদিক সুমন সহ আরও ৪ জন গুরুত্বর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে।

সোমবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টায় সদর উপজেলার হরিদেবপুর এবং খলেয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা পাঠানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার (স্থানীয় জৈনক ব্যক্তি মোহাব্বত/শাহিন/মোস্তাকিমদের) জায়গায় প্রতিদিনের ন্যায় স্থানীয় এবং বহিরাগত লোকজন এসে উশৃংখলতা শুরু করে, এসময় তাদেরকে উশৃংখলতা বন্ধ করে চলে যেতে বললে (মেহের আলীর হুকুমে, আবু মিয়া, কন্ঠ, সাগর, শাজাহান, সুরুজ, লাল মিয়া, কালা মিয়া, আছমা, আরজিনা, আনোয়ারা, সপ্না সহ বহিরাগত আরও নাম না জানা ২৫/৩০ জন উক্ত মোহাব্বত গংদের তিন ভাইয়ের উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

একপর্যায়ে স্থানীয় মাদকসেবীদের সহায়তায় বহিরাগতরাসহ এক যোগে দা, হাসুয়া, চোরা, কুড়াল, লোহার রড সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে শাহিনের মাথা ফেটে যায় এবং তার আরও দুই ভাই মোহাব্বত ও মোস্তাকিম গুরুতর আহত হয়। শাহিনকে বাঁচাতে তার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকে মারধর করে গায়ের কাপড়-চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা কয়েকজন দুর্বৃত্ত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকবাসী জানায়- সাংবাদিক সুমনের বাড়ি একই এলাকায়, ঘটনার প্রথম অবস্থায় সাংবাদিক সুমন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো না। মাঝামাঝি এসে দু-পক্ষের মারামারি দেখে পুলিশকে বিষয়টি জানায় এবং সবাইকে শান্ত থাকার কথা বলে।

তখন দুর্বৃত্তরা সবাই মিলে সাংবাদিক সুমনকে মারধর করা শুরু করে এবং হাতে থাকা ফোন কেড়ে নেয়, পকেটে হাত দিয়ে আইডি কার্ড ও ৩০ হাজার টাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সহ মানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে যায়। এতে সাংবাদিক সুমন গুরুতর আহত হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করায়।

উল্লেখ্য যে, পাঠান পাড়া এলাকায় আতিকুলের দিঘি নামক জায়গায় দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যাবসা এবং সেবন করে আসছে স্থানীয় ও বহিরাগত কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবী। এরই ধারাবাহিকতায় এলাকায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত মাদকসেবন করে এলাকায় মানুষের সাথে ঝগড়া-বিবাদ সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে তারা।

ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করে রংপুর সদর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বিডি দর্পণ ২৪.কম’কে বলেছেন- আমি উক্ত এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা শুনেছি, কোন এক পক্ষ থানায় অভিযোগ করছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।