লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি সংক্রান্ত ঘটনায় সংঘর্ষে এক দম্পতি আহত; থানায় অভিযোগ দায়ের

এ,এল,কে খান জিবু,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
এ,এল,কে খান জিবু,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি এ,এল,কে খান জিবু,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:৫৫ অপরাহ্ন, ২৪ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১২:২২ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক দম্পতিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার রেজোয়ান রাব্বি শাকিল ও সামসুজ্জোহা সেবিন গং এর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার ( ২২জুলাই) দুপুরে ওই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত দম্পতি আরিফুল ইসলাম খন্দকার(৩৮) এবং তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা শিমুল(৩৫) হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর বেডে অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতারাচ্ছেন।


এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আসামী মো:রেজোয়ান রাব্বি শাকিল(৩৫), মো:সামসুজ্জোহা সেবিন(৩০) পিতা- মো:খয়বর হোসেন। মো:আব্দুল জলিল(৬০), মো:আলতাব হোসেন(৫৭) পিতা-মৃত আ:গফুর। মোছা:সেলিনা বেগম(৫৫) স্বামী- মো: খয়বর হোসেন (৬০) এর বিরুদ্ধে জমি জমার ব্যাপারে সহকারী জজ আদালত লালমনিরহাটে ইতিপূর্বে হকসভা মামলা দায়ের করেন মো: আরিফুর ইসলাম খন্দকার(৩৮)। মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে চলমান আছে যার নং-৯/২০(হাতী)।

আরিফুল ইসলাম খন্দকার সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার দাবি করায় বেমাতা ভাই,বোন ও তাদের সন্তানদের রোসানলে পড়েন। তিনি ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কর্মস্থল থেকে বাড়িতে এলে ঈদের পরের দিন দুপুরে তাকে একা পেয়ে আসামীগণ পূর্ব শত্রুতাবশত আক্রমন করে। বাশের লাঠি,লোহার রড,ধারালো ছোরা,ইট ইত্যাদি দিয়ে এলো পাথারি মারতে থাকে এমতাবস্থায় স্বামীকে বাচাতে স্ত্রী উম্মে হাবিবা ছুটে এলে স্বামী স্ত্রী উভয়কে বেধরক পিটিয়ে মাথা, পিঠে এবং উরুতে মারাত্বক জখম করে।দম্পতির আত্নচিৎকারে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ বিষয়ে সামসুজ্জোহা সেবিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, জমি জমার বিষয় নয়। ওই ব্যাক্তির নিকট আমরা মা টাকা পায়, আর সেই পাওনা টাকা চাওয়াতে গেলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ফকিরপাড়া ইউ,পি চেয়ারম্যান মো: নুরুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষ আমার কাছে এসেছিল তাদেরকে অভিযোগ দিতে বলেছি পরবর্তীতে বসে মিমাংসা করা হবে। কিন্তু পরে আর কেউ যোগাযোগ করেননি।

এবিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।