স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি হয়েছে ঢালাওভাবে বললে হবে না -স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ন, ৩০ জুন ২০২১ | আপডেট: ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি হয়েছে ঢালাওভাবে বললে হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, গত একবছর তো কেউ বাইরে চিকিৎসা নিতে যেতে পারেননি। দেশেই তো চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমাদের দেশে চিকিৎসা হচ্ছে বলেই তো সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। শুধু ঢালাওভাবে দুর্নীতির কথা বললে হবে না। কোথায় দুর্নীতি হয়েছে সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে। ঢালাও অভিযোগ কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না।

আজ বুধবার(৩০ জুন) সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাসকালে বিরোধীদলের সদস্যদের ছাঁটাই প্রস্তাবের বক্তব্যের জবাবে একথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সব লকডাউন আপনারা কেউ তো বাইরে যেতে পারেননি। সেবা কোথায় নিচ্ছেন? সব বাংলাদেশের হাসপাতালেই সেবা নিচ্ছেন। যেতে তো পারছেন না কোথাও। হাসপাতাল সে সেবা দিতে পারে বিধায় আপনারা সেবা নিচ্ছেন। ভালো আছেন।

ভ্যাকসিন সংগ্রহ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন আমরা আনার চেষ্টা করছি। আগামী ২-৩ তারিখের মধ্যে ২৫ লাখ মর্ডানার ভ্যাকসিন চলে আসবে। চীনা ভ্যাকসিনও একই সময়ে চলে আসবে। কোভ্যাক্স থেকে আমরা ৬ কোটি ৩০ লাখ ভ্যাকসিন ডিসেম্বরের মধ্যে পাবো। সিনোফার্মের সাথে দেড় কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি হয়েছে।

সব মিলিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটা দিয়ে আমরা ৫ কোটি মানুষকে টিকা দিতে পারব। জনসন এন্ড জনসনকে রিসেন্টলি অনুমতি দিয়েছি। সেখানকার ৭ কোটি ভ্যাকসিন দিয়ে ৭ কোটি মানুষকে টিকা দিতে পারব। আগামী বছরের প্রথম কোয়ার্টারে পাব। সব মিলিয়ে আগামী বছরের প্রথম কোয়ার্টারের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারব।

তিনি আরো বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবার সব স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি করোনার চিকিৎসা চলছে। প্রায় এক কোটি লোককে আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি। সেখানে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। কোভিড-১৯ টেস্ট আমরা প্রায় ৫০ লাখ মানুষের করেছি। সেখানে দুই হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এক লাখ করোনার রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি। সেখানে দুই হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এসব কাজ আমরা করেছি বিনামূল্যেই। এ বছরের এডিপির ১২ হাজার কোটি টাকার বাজেট ছিলো ভ্যাকসিন বাদ দিলে এর ৮৫ শতাংশ অর্জন হবে। ভ্যাকসিনের ৮ হাজার কোটি টাকা ধরা হলে সেটা ১৫০ শতাংশ আমাদের অর্জন।

 স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব এমপিরা তো হাসপাতালের চেয়ারম্যান। উন্নয়ন কমিটির সঙ্গে আমরা জড়িত। আপনারা প্রত্যেকে দায়িত্বে আছেন। এই বিষয়গুলো আপনাদেরই দেখার কথা। মেশিন চলে না। লোক লাগবে। এগুলো তো আপনাদের দেখতে হবে। কিন্তু আপনারা তো সেটা দেখেন না। নার্স, ডাক্তার বা যন্ত্রপাতি লাগলে তো আপনাদের বলতে হবে। শুধু অভিযোগ দিলে তো হবে না। যা যা প্রয়োজন আছে, তার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু চেয়ারম্যান হিসেবে এগুলো দেখার দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তায়।