পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত: ওবায়দুল কাদের

newsdesk
newsdesk newsdesk
প্রকাশিত: ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ২:০৪ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন  দেখতে পায় না। বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপি’র লজ্জা পাওয়া উচিত।
শহীদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে  রোববার  সকালে বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার মনে হয় বিএনপি পড়াশোনা করে না। ‘বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের এমন মন্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন  দেখতে পায়। তবে বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না।
পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব বিএনপি’র মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাকিস্তান এক সময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জিত হয়।  পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে রিজভীদেরই  লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে শেহবাজ শরীফ যা দেখে বিএনপি সেটাও দেখে না। তারা (বিএনপি) কেন  দেখে না, সেটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন।
জাতীয় পার্টিকে হুমকি দিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে কাকে হুমকি দিয়েছে? তাদের জন্ম তো বন্দুকের নলে। তারা গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আসেনি। গত নির্বাচনে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। ভোটের দিন কোনো খুন খারাবি হয়নি। এখানে আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে, কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই (জিএম কাদের) পরিষ্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ৭৫'-এর ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড। খুনিদের মদদ দিয়েছে জিয়া-মোশতাক চক্র। এর মধ্য দিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু।  শেখ হাসিনা  দেশে ফিরে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ওবায়দুল কাদের শহীদ শেখ জামালের কবরে শ্রদ্ধা জানান। পরে দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান কাদের।
এ সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।