আতঙ্কিত আর্চার

newsdesk
newsdesk newsdesk
প্রকাশিত: ১:৫৫ পূর্বাহ্ন, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ১২:০৫ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও একটি বছর যাওয়া-আসার মধ্যে থাকতে হতে পারে বলে শংকিত  হয়ে পড়েছেন  ইংল্যান্ড পেসার জোফরা আর্চার। ইনজুরির সাথে লড়াই করার মানসিকতা থাকলেও আর্চার বলেন, ‘আমি জানি না, আমাকে আরও একটি বছর যাওয়া-আসার মধ্যে থাকতে হবে কি-না।’
গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের সাথে দুই বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন ২৯ বছর বয়সী আর্চার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন তিনি। 
তৎকালীন  ইনজুরিতে  তার ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে এবং ডান-হাতের কনুইতে চিড় ধরায় গত বছরের পুরো ঘরোয়া মৌসুমেই খেলতে পারেননি সাসেক্সের পেসার আর্চার। 
২০১৯ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ^কাপ দিয়ে নজরে স্পট লাইটে আসেন  আর্চার।  আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের  বিপক্ষে সুপার ওভারে দারুন বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে শিরোপার স্বাদ দেন তিনি। আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে মাঠে ফেরার প্রত্যাশা এই ডান-হাতি পেসারের। 
তবে আর্চার মনে করেন, আরও একটি স্বপ্ন ভঙ্গের ফলে যে মানসিক এবং শারীরিক ধাক্কা আসবে সেটি মানিয়ে নেওয়া  কঠিন হবে। 
ফোরকাস্টস অ্যাথলেট ভয়েস পডকাস্টে আর্চার বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি জানি না আমার জন্য আরও একটি যাওয়া-আসার বছর আছে কিনা। এটা সত্যি যে, আমি জানি না আরও একটি বছর আমার জন্য কি  অপেক্ষা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুরো এক বছর  ক্রিকেট থেকে দূরে আছি। গত বছর জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত খেলেছিলাম। আমার মনে হয়, আগের বছর সাসেক্সের হয়ে এক বা দু’টি ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু আমি পুরো বছর খেলেনি।’
এই মাসের শুরুর দিকে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান রব কি জানিয়েছেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত কোন টেস্ট ম্যাচ খেলবেন না আর্চার। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই আর্চারের মূল্য লক্ষ্য। 
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আর্চার  বড় ভূমিকা রাখাবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে তার খেলার সম্ভাবনা এখনও ক্ষীণ। আর্চার বলেন, ‘জুন মাসের প্রথম ম্যাচে আমি সত্যিই দলে থাকতে চাই। গত দুই বছর দলে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলাম। আমি মনে করি, সবাই এই বিষয়টিকে সহজভাবেই নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও, আমি সত্যিই এটি নিয়ে ভাবতে চাই না। কোন কারনে বিশ্বকাপে খেলতে না পারলেও, এখনও টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট ও দ্য হান্ড্রেড আছে।’