রংপুরে জিংক ধান ও চাল বাজারজাতকরণ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
মোঃ আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:০৯ অপরাহ্ন, ২৬ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

রংপুরে আরডিআরএস বাংলাদেশ হারভেষ্টপ্লাসের সহযোগীতায় Integrated Food Systems Approach to Build Nutrition Security (IFS) প্রকল্পের মাধ্যমে রংপুরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জিংক ধান ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাজারজাতকরণ শীর্ষক এক সভার আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহম্পতিবার (২৬ আগষ্ট) দুপুরে রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদের উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সভার উদ্বোধন করেন। আরডিআরএস বাংলাদেশ রংপুরের হেড অব অ্যাডমিন অ্যান্ড জিএস নজরুল গনির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালী যুক্ত হন হারভেস্টপ্লাসের কার্ন্টি রিপ্রেনজেটেটিভ ড. খায়রুল বাশার, কো অর্ডিনেটর  মজিবর রহমান, তিনি নতুন জিংক ধানের জাত ব্রি ধান ১০০ সম্পর্কে এবং বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার কথা বলেন। 

উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন আরডিআরএস বাংলাদেশের সিনিয়র কো অর্ডিনেটর (কৃষি ও পরিবেশ). মামুনূর রশিদ, বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, তারাগঞ্জের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কে. এম তরিকুল ইসলাম; কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, তারাগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার উর্মি তাবস্সুম; কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, রংপুরের সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা  শাহিন আহম্মেদ। এসময়   মামুনূর রশিদ বলেন- জিঙ্কসমৃদ্ধ ধানের উৎপাদন নিশ্চিত করতে কৃষক পর্যায়ে মানসম্পন্ন ধান বীজ ডিলার ও রিটেইলার সরবরাহ এবং উৎপাদিত ধান এগ্রিগেটরের দ্বারা সংগ্রহ করে অটো রাইস মিলের মাধ্যমে স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীদের দ্বারা বাজারে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে আরডিআরএস বাংলাদেশ হারভেস্টপ্লাস-আইএফএস প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও হারভেস্টপ্লাস প্রকল্পের Agriculture Research and Development Officer (ARDO) রুহুল আমিন মন্ডল জিংক সম্পর্কে বলেন- জিংকের অভাবে ডায়রিয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, টাক সমস্যা, খাটো হওয়া, মাতৃত্বজনিত সমস্যা এবং নিউমোনিয়া দেখা দেয়। এরপর তিনি জিংক সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধানের জাত বাজারজাতকরণের উপর আলোচনা করেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে জিংক চালের পুষ্টিগুণ অক্ষুন্ন রাখতে যদি সম্ভব হয় ঢ়েকিতে ছাটানো সম্ভব হলে বাংলাদেশের মানুষের খনিজ ও পুষ্টির অভাব লাঘব হবে বলে আমি আশা করছি। তিনি আরো বলেন- সচিব মহোদয় জিংক চাল সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন যা পরবর্তিতে বিশেষ পরিকল্পনা করবেন এবং ওএমএস, ভিজিডি ও ভিজিএফ এর সদস্যদের জিংক চাল দেওয়ার জন্য সুপারিশ করবেন।

উক্ত কর্মশালায় ধান ব্যবসায়ী চাল ব্যবসায়ী, নারী সিবিও লিডার অটো রাইস মিলার, সাংবাদিক এবং আরডিআরএস বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিসার সহ মোট ৩৫ অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।