রংপুরে নিখোঁজ মেয়েকে ফেরত পেতে মায়ের আবেদন

আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:২৫ অপরাহ্ন, ২৯ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ১:৪৩ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

রংপুরে নিখোঁজ মেয়ে ফাতেমা আক্তার (১৬) কে ফেরত চেয়ে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি ও রংপুর পুলিশ সুপার বরাবর আকুল আবেদন করেছে তার মা।

শনিবার (২৮ আগষ্ট) সকালে ফাতেমা আক্তারের মা রমিছা বেগম রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপার বরাবর মেয়েকে ফেরত চেয়ে আবেদন প্রেরণ করেন। ঐ আবেদন, নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার হলদীবাড়ি গ্রামের মা রমিছা বেগম ও বাবা শহিদুল ইসলাম এর মেয়ে ফাতেমা আক্তার (১৬) কাউনিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর একজন ছাত্রী ছিলেন। গত বছর ১০/০৩/২০২০ইং তারিখে সকাল আনুমানিক ৬.৩০ ঘটিকার সময় আমাদের বাড়ি হইতে প্রাইভেট পড়ার কথা বলিয়া রওয়ানা করিয়া প্রাইভেট না পড়িয়া কোথায় যেন চলে যায়। একই দিনে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাত নামা মোবাইল হইতে বাবা শহিদুল ইসলামের মোবাইলে ফোন করিয়া হ্যালো হ্যালো বলে ফোন কেটে দেয়। পরে মেয়েকে সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি তার পরিবার । গত বছর ১৩/০৩/২০২০ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকার সময় ফাতেমা আক্তার তার বন্ধু লিটন মিয়া (১৯) এর মোবাইল হতে কল করিয়া বলে আমি ষ্টেশনে আমার মোবাইল ফোনটি হারাইয়া গিয়েছে তারপর থেকে উক্ত মোবাইল দুটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এবং সে সময় হতে আজ পর্যন্ত ফাতেমা আক্তারকে খুজে পাওয়া যায়নি। ফাতেমা আক্তারের শরীরের বর্ণনা উচ্চতা ৫ফিট, গায়ের রং কালো, মাঝারি মুখমন্ডল গোলাকার, তার চুল কালো। পরবর্তীতে জানতে পারি যে, লিটন মিয়ার সহিত আমার মেয়ের একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

এ ব্যপারে ফাতেমার মা রমিছা বলেন, আমি বাদি হয়ে গত বছর ১৫/০৩/২০২০ইং তারিখে কাউনিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছি যাহার নং- ১০২৩, তারিখ ১৫/০৩/২০২০ইং করার প্রায় ১৫ মাস পরেও আমার মেয়ের কোন সন্ধান পাইনি। পরবর্তীতে আমার স্বামী শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মেয়ের কথিত প্রেমিক ১। মো: লিটন মিয়া (১৯), পিতা- মো: হাশেম আলী, ২. মো: হাশেম আলী (৪৫) পিতা- মৃত আরফান আলী, ৩. মোছা: মল্লিকা বেগম (৪০) স্বামী মো: হাশেম আলী, ৪. আলিমুদ্দিন (২৪) পিতা- মো: হাশেম আলী সর্ব গ্রাম- পাঞ্জরভাঙ্গা, থানা- কাউনিয়া, জেলা- রংপুরগণকে আসামী করে এজাহার দিলে অজ্ঞাত কারণে এজাহারটি গ্রহন করেনি, বরং তৎকালীন সময়ে থানা থেকে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেছিল আপনাদের মামলা দিয়ে কি হবে আপনাদের মেয়েকে ফেরত পেলেই তো হল। কান্নারত অবস্থায় তিনি আরো বলেন, আমার বুকের ধন আমার মেয়ে  ফাতেমা আক্তার কে আমার বুকে ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী, ডিআইজি, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ঠদের মা হয়ে জোর দাবি জানাচ্ছি।