গোবিন্দগঞ্জ ১৮ জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শুধুমাত্র হরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজু বিডিআর ব্যাতীত সব ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা কাউন্সিলর ও পিআইও কর্মকর্তাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়ের হয়েছে। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের ৫ হাজার ৮৩২ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন পূর্বক কালোবাজারে বিক্রির দায়ে এ মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুরের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে গত শনিবার (২৬ আগস্ট) মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সভার অনুকূলে জিআর-এর বরাদ্দকৃত ৫ হাজার ৮২৩ মেট্রিক টন সরকারি চাল আসামীগণ যোগসাজশে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ২২ কোটি ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৯০ টাকা আত্মসাত করেন। এর প্রেক্ষিতে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।
মামলায় উল্লেখিত আসামীরা হলেন- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম (বর্তমানে কর্মরত), কামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশাহেদ হোসেন চৌধুরী, কাটাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম (রফিক), শাখাহার ইউপি চেয়ারম্যান তাহাজুল ইসলাম, রাজাহার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার, সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আলম, দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান আ.র.ম. শরিফুল ইসলাম জর্জ, তালুককানুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক, নাকাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতারা বেগম, রাখালবুরুজ ইউপি চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন, ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা, গুমানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোস্তফা জগলুল রশিদ রিপন, কামারদহ ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রতন, কোচাশহর ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মণ্ডল, মহিমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, শালমারা ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন শামীম ও পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর গোলাপী বেগম।
