রংপুরে শিক্ষক ও ছাত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ছিনতাই এর ঘটনায় গ্রেফতার-১

আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখমের পর ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত এক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে তাজহাট থানা পুলিশ।

জানা গেছে গ্রেফতারকৃত আসামী রিফাত হোসেন ওরফে আলিফ (২২) এর কাছ থেকে ছিনতাইকৃত দুটি মোবাইল ফোন, টাকা ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

এই দুধর্ষ ছিনতাইয়ের ঘটনায় শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগর পুলিশের ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান উপ- পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাত করেছেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম তাজহাট থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা রিফাত হোসেন ওরফে আলিফকে গ্রেফতার করেছে তাজহাট থানা পুলিশ।  

গ্রেফতারকৃত আসামী রিফাত হোসেন ওরফে আলিফ (২২) কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে তিনি ছিনতাইয়ের সাথে সম্পৃক্তার কথা স্বীকার। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ি থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবহার করা একটি চাপাতি জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে ছিনতাই হওয়া দুটি মোবাইল ফোন ও কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। 

এছাড়াও উপ-পুলিশ কমিশনার আরো জানান- নেশার টাকার জন্যই মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নিয়ে এক শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। গ্রেফতার আলিফ ও তার দুই সহযোগী চুরি-ছিনতাই করেই জীবন চালায়। এরা নিয়মিত নেশা করে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে এরা চুরি ও ছিনতাই করে। ঘটনার দিন তিনজনই ছিনতাইয়ের জন্য ঘোরাঘুরি করতে থাকে বলে জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ)আবু মারুফ হোসেন। 

এ ঘটনায় ছিনতাইকারী চক্রের আরও দুজন সদস্য পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ থাকে যে, গত বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সিদ্দিক পরাগ মাহমুদ ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন।  এ ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পার না হতেই ভোরে হাঁটতে বের হয়ে নগরীর লালবাগ এলাকায় ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামানও হামলার শিকার হন।

তাদের দুইজনকেই চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরাগকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিক্ষক মনিরুজ্জামান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আশংঙ্কামুক্ত রয়েছেন।