অসহায়-হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে কাজ করে যাচ্ছেন-প্রবাসী নিউ

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ন, ২১ জুন ২০২১ | আপডেট: ২:২৮ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪




প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের অসহায় হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা লাঘবসহ বেকারত্ব ঘুচাতে সামাজিক দায়বদ্ধতায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আমেরিকা প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার আবু জাহিদ নিউ।


তিনি তাঁর অবস্থান থেকে নিজস্ব অর্থায়নে অসহায়দের মাথা গোঁজার ঠাঁই ঘর নির্মাণ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাদের আর্থিক সহায়তা ছাড়াও প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার, শীতবস্ত্র বিতরণ এবং বিভিন্ন সময় দুঃস্থ-অসহায়দের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণসহ বছরের পর বছর ধরে জনকল্যাণমুখী নানা মানবিক কাজ অব্যাহত চালিয়ে আসছেন। না কোন পিঁছু টান নেই তাঁর। অসহায়দের দুরাবস্থার কথা কানে আসা মাত্রই তাৎক্ষণিক তিনি সহায়তার হাত প্রসারিত করে থাকেন। শুধু তাই-ই নয়-সুবিধাভোগি অবহেলিত জনমানুষের কথা সব সময়ই চিন্তা করেন ইঞ্জিনিয়ার নিউ। আর এমন চিন্তাচেতনার ধারাবাহিকতায় তিনি অভাব পীড়িতদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষা ও বিনোদনসহ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করণে অপ্রতিরোধ্য কাজ করে যাচ্ছেন।


নিউ লাইফ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমেরিকা প্রবাসী মানবতার ফেরিওয়ালা ইঞ্জিনিয়ার আবু জাহিদ নিউ। রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরে থেকেও অকুণ্ঠ দেশপ্রেম ও মাতৃভূমির টানে আন্তরিকতার মধ্যদিয়ে মানুষের সার্বিক কল্যাণ সাধনের এমন মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন অনেক আগে থেকেই। মানুষকে সহায়তা করার বিষয়টি তাঁর মানবিক নেশায় পরিণত করেছেন। হাত বাড়িয়ে কিছু দিতে পারলে তাতেই তাঁর প্রশান্তি মেলে বলে তিনি মনে করেন। প্রয়োজন শুধু উদার মানসিকতার। মহান সৃষ্টিকর্তা যতদিন  বেঁচে রাখবেন ঠিক ততদিনই চির অবহেলিত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর উপজেলা এবং রংপুরের পীরগঞ্জ এলাকার বেকারত্ব দূরীকরণ ছাড়াও বৃহৎ এ জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশাসহ জীবনমানের পরিবর্তন ঘটাতে সর্বদাই নিবেদিত থাকবেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত নিউ লাইফ ফাউন্ডেশন কাজ করে যাবেন। নিয়মিত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সহায়তা প্রদানের স্বার্থে ফাউন্ডেশনের একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করেছেন। সংগঠনের সদস্যরা তৃণমূল দরিদ্র মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় নিপেতিতদের দোরগোড়ায় গিয়ে সহায়তা প্রদান করে থাকেন। এছাড়াও চিহিৃত বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করণে তিন উপজেলার সর্বত্রই সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।


ইঞ্জিনিয়ার আবু জাহিদ নিউ-এর জন্ম পলাশবাড়ীর পার্শ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের টুকনিপাড়া গ্রামে। শৈশব বয়স থেকেই প্রাত্যহিক জীবন-জীবিকা ও লেখাপড়াসহ ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন পলাশবাড়ীতে। আর এজন্যই নিজ দায়িত্ব-কর্তব্য এবং কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে অত্র এলাকার জনমানুষের প্রতি তাঁর ভালবাসার কোন কমতি ছিলনা এবং এখনো নেই। সাদামাটা সহজ-সরল স্বভাবের নিউ ছোটবেলা থেকেই দানশীল মানসিকতায় গড়ে উঠেছেন। এমন অবস্থান থেকেই তিনি একাগ্রচিত্তে মানবসেবায় অবিরাম কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর ও পার্শ্ববতী পীরগঞ্জ উপজেলা এলাকাকে পৃথক মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার মানসে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিউ লাইফ ফাউন্ডেশন। আমেরিকা অবস্থান করার মধ্যদিয়েই তিনি প্রত্যহই কাউকে না কাউকে কোন না কোন সহায়তা তাঁর নিয়মিত রুটিন-এ পরিণত করেছেন। দেশে আসলেই ফাউন্ডেশনে নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবী সদস্য কর্মী বাহিনীকে সাথে নিয়ে তিনি তিন উপজেলায় চষে বেড়ান। 


পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর ও পীরগঞ্জ উপজেলার মৎস্য চাষের উন্নয়ন তথা মৎস্য জীবিদের আর্থিক অবস্থা সাবলম্বী করতে পীরগঞ্জ উপজেলার ‘মানাসী পাথার’ নয়া বাজার সংলগ্ন প্রতিষ্ঠিত করেছেন ‘বিডি এন্ড ইউএসএ ফিস হ্যাচারীজ’। এর মাধ্যমে ধানী, রেণু ও চাপের পোণা মাছ বড় করণসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন করে চলেছেন। সেইসাথে তুলনামূলক কম মূল্যে উন্নত জাতের পোনা সরবরাহ করে এলাকার উন্নয়নে বিশেষ  অবদান রাখতে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন। সেখানে তিনি গড়ে তুলেছেন হাঁস ও মুরগীর খামার। ইঞ্জিনিয়ার নিউ-এর জন্ম রংপুরের পীরগঞ্জ এলাকার কাবিলপুর ইউনিয়নের টুকনীপাড়া গ্রামের সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তার পিতা ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আবু তৈয়ব সাদেক। একজন নিউ আসলেই ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তা-চেতনার পরিক্ষিত জনদরদী মানুষ। হতদরিদ্র ও অসহায়-দুস্থ মানুষদের তথ্যানুসন্ধানের মাধ্যমে প্রকৃত দুঃখ-দুর্দশা গ্রস্তদের বাস্তব চিত্রপট গণযোগাযোগের বিভিন্ন  প্রেক্ষাপট সমূহ ও পত্র-পত্রিকা ছাড়াও লোকমুখে অবগত হয়ে সহযোগিতা দানের জন্য ফাউন্ডেশন সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। 


অত্রালাকার অবহেলিত মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণে ইতোমধ্যেই নিউ লাইফ হাসপাতাল (প্রস্তাবিত) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও তিনি তিন উপজেলার মাদকাসক্ত মানুষের পূণবার্সনের জন্য স্থাপন করছেন রিহ্যাব সেন্টার। মানবতার জবাবদিহিতা থেকে করা এসব কর্মকান্ডে কতিপয় একটি চিহিৃত মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েছেন। এদিকে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করায় সুযোগ বুঝে একই পরিবারের স্বার্থান্বেষী সহোদর আপনজন ছাড়াও সঙ্গীয় অন্যান্যরা অব্যাহত বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। কুচক্রী মহল দুরভিসন্ধি মূলক গণযোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ইঞ্জিনিয়ার নিউ-এর বিরুদ্ধে নানা বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর প্রতি চিহিৃত নিন্দুকদের এমন অমানবিক ভূমিকাকে উপেক্ষা করে তিনি জনহিতকর এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বহুমুখী মানবসেবার মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন তিনি। মোবাইল ফোনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন সততার শক্তিই আলাদা। আমি কোন অন্যায়-দূর্ণীতির সাথে জড়িত ছিলাম না এবং এখনো নেই। নিজের কষ্টার্জিত  অর্থ দিয়েই জীবনভর এমন সহায়তা প্রদান করে যাবো ইনশাআল্লাহ। একটি বিশেষ কুচক্রী মহল তাদের অপ্রতিরোধ্য আধিপত্য বিস্তার লাভে একের পর এক নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত চালিয়ে যাচ্ছেন বলে নিউ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান।