গাইবান্ধায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে : শনাক্তের হার প্রায় ২১ শতাংশ

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১১:০৬ অপরাহ্ন, ২২ জুন ২০২১ | আপডেট: ১১:০৬ অপরাহ্ন, ২২ জুন ২০২১

গাইবান্ধায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই যেন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে কোভিড- ১৯। গত ২৪ ঘণ্টায় মঙ্গলবার ২২জুন জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। সব মিলিয়ে গাইবান্ধায় আক্রান্ত বেড়ে ১ হাজার ৮৯৫ এ পৌঁছলো, এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। তবে করোনার সংক্রমণের মধ্যেই আশার আলো এর সুস্থতার সংখ্যা। 


জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এ পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ৭৮৪ জন মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ওই রোগ থেকে। জেলায় করোনাজয়ীদের মধ্যে গাইবান্ধা সদরে ৭৩২ জন, সুন্দরগঞ্জে ১১৮ জন, সাদুল্লাপুরে ১৩২ জন, গোবিন্দগঞ্জে ৪১১ জন, সাঘাটায় ১২৯ জন, পলাশবড়ীতে ১৪৭ জন ও ফুলছড়িতে ১১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। 


সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে পলাশবাড়ীতে ৩ জন, সাদুল্লাপুরে ৩ জন, সদরে ৪ জন, সাঘাটায় ১ জন এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ২ জন রয়েছেন। জেলার ৭ উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ১ হাজার ৮৯৫ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বাধিক ৭৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া গোবিন্দগঞ্জে ৪৩৭, পলাশবাড়ীতে ১৫৬, সাদুল্লাপুরে ১৪৭, সাঘাটায় ১৩৩, সুন্দরগঞ্জে ১২৪ এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ১২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।গাইবান্ধায় বর্তমানে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৯১ জন বিভিন্ন আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে ৩৭ জন গাইবান্ধা সদরে, সুন্দরগঞ্জে ৫ জন, সাদল্লাপুরে ১৩ জন, গোবিন্দগঞ্জে ২২ জন, সাঘাটায় ৪ জন, পলাশবাড়ীতে ৪ জন ও ফুলছড়িতে ৬ জন।জানা গেছে, এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ২০ জন করোনা আক্রান্তরোগী মারা গেছেন। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ৪ জন, সদরে ৭ জন, সাদুল্লাপুরে ২ জন, পলাশবাড়ীতে ৫ জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। 


গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. আ.ম. আখতারুজ্জামান জানান, গাইবান্ধায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় (মঙ্গলবার) করোনা ভাইরাসে নতুন করে ১৩ জন শনাক্ত হয়েছে এবং গত সাতদিনে ৩৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৯ জনের দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সাতদিনের গড় করোনা শনাক্তের হার প্রায় ২১ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, জেলায় করোনা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনা বৃদ্ধির পাশাপাশি আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হচ্ছে। হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। 


গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং জেলাকে সুরক্ষিত রাখতে সবদিক বিবেচনায় প্রয়োজনে লকডাউন দেয়া হবে।