পলাশবাড়ীর বেতকাপা ইউপি নিবার্চনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান সৈকত আলোচনার তুঙ্গে

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:৩৬ অপরাহ্ন, ২৬ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১:৪৩ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ৬নং বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে আলোচনার তিনি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সবার দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশী।

আসন্ন আগামী ২৮ নভেম্বর-২০২১ ইউপি নিবার্চন উপলক্ষে প্রতিদিন ইউনিয়নের তৃনমূলের ভোটারদের মাঝে গনসংযোগ করার কারনে পাড়া-মহল্লাসহ হাট বাজারের চায়ের দোকানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন বলে তিনি শতভাগ আশাবাদী।

সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি ইউনিয়নের গরীব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

সাধারণ মানুষের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, এই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ তাদের কাঙ্খিত সেবা ও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। আমি ঐ সকল সাধারণ মানুষের কল্যানে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অনকে দুর এগিয়ে গিয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বেতকাপা ইউনিয়ন সেই দিক থেকে অনেক অনেক পিছিয়ে আছে। বিগত ইউপি চেয়ারম্যানদের অসৎ কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও অঞ্চল ভিত্তিক বৈষম্যমূলক উন্নয়নের কারনেই এই দশা।পার্শ্ববতী ইউনিয়নসমূহের রাস্তাঘাটসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও বেতকাপা ইউনিয়নের বিগত মেম্বর চেয়ারম্যানদের দুর্নীতি ও অপারদর্শীতার কারনে পুরো ইউনিয়নবাসী ভোগান্তিতে ভুগছেন। অত্র ইউনিয়নের বিগত চেয়ারম্যানদের ছত্রছায়ায় পুরো ইউনিয়নে মাদক, জুয়া, গরু চুরি, ডাকাতি, খুন-হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজির মত সকল অসামাজিক কার্যকলাপ ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে। বিগত অনেক চেয়ারম্যান নিজেরাও গরু চুরি, ডাকাতি, মানুষ খুনের মত জঘন্য কার্যকলাপের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং সরাসরি অন্যদেরকেও এসব কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন। এসব কারনে ইউনিয়নবাসীর সামাজিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে সারাদেশে ব্যাপকহারে বয়স্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধী- গর্ভবতী ও শিশুভাতাসহ অন্যান্য ভাতা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু অত্র ইউনিয়নের সকল মেম্বার চেয়ারম্যানগণ উক্তভাতা সমূহ গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরন না করে, স্বচ্ছল ও বিত্তশালীদের থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে প্রদান করেছেন। যার ফলে, এলাকার গরীব অসহায়রা সরকারের সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিগত মেম্বর চেয়ারম্যানদের শাসনামলে এরকম নানা-রকম দুর্নীতি হয়েছে। 

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান সৈকত ছোট বেলা থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি সর্বদাই গরীব অসহায়দের বিপদে  আপদে, সুখে-দুখে পাশে থেকেছেন। নিজে না খেয়ে গরীব-দুখীদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন, নিজের ক্ষতি করে অন্যের বিপদে সাহায্য করতে ঝাপিয়ে পড়েছেন। সর্বদাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। এলাকার সামাজিক-রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক সর্বক্ষেত্রেই রয়েছে তার ব্যাপক অবদান। এমন কোন উন্নয়নমূলক ক্ষেত্র নেই যেখানে তার অবদান নেই। এসব কারনে তৃণমূলের জনসাধারনের মাঝে তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে এবং তাকে ঘিরে তাদের অনেক আশা-আকাঙ্খা রয়েছে। তারা সকলে মোঃ হাবিবুর রহমান সৈকত'কে তাদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। এজন্য সাধারন জনগন তাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা পেতে এবং এলাকা থেকে সকল দুর্নীতি দুর করতে হাবিবুর রহমান সৈকত'কে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করতে স্বেচ্ছায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন এবং সর্বাত্মকভাবে আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান সৈকত বলেন, তিনি জনগনের শাসক নয়, সেবক হিসেবে কাজ করতে চান এবং পূর্বের ন্যায় সারা জীবন বিপদে আপদে তাদের পাশে থাকতে চান। চেয়ারম্যান হয়ে তিনি তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে চান। বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সকল ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা জনগনকে সুষমভাবে বিনামূল্যে বন্টন করতে চান। তিনি বলেন যে, তিনি উপরোল্লিখিত সকল সমস্যা ও দুর্নীতি দুর করতে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। তিনি নির্বাচিত হলে এই ইউনিয়নের হাট বাজার , রাস্তাঘাট, কালভার্ট, মসজিদ মাদ্রাসা, মন্দিরসহ ইউনিয়নের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন করবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, তার পিতা একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন (দুইবার), তার দাদা নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন (তিনবার), তার দাাদার পিতার পাকিস্থান শাসনামলে নির্বাচিত চেয়ারম্যান/ ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তারা পূর্ব-পুরুষরা সুনামের সহিত অত্র ইউনিয়ন পরিচালনা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, তিনিও তাদের সুনাম ধরে রাখতেই চেয়ারম্যান হবেন এবং চেষ্টা করবেন তাদের চেয়েও ভালো কিছু করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে। এজন্য তিনি সকলের দোয়া, আর্শীবাদ, সমর্থন ও সার্বিক দিক থেকে সহযোগীত কামনা করেছেন।