প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে থাকার একটি ঘর দিতেন তাহলে আমি মরেও শান্তি পাবো-আছিয়া বানু

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ২:০৬ পূর্বাহ্ন, ২৬ জুন ২০২১ | আপডেট: ২:০৬ পূর্বাহ্ন, ২৬ জুন ২০২১

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসান পাড়া গ্রামের মরহুম আব্বাস আলীর স্ত্রী আছিয়া বানুর নেই কোনো থাকার জায়গা, নেই কোনো ঘর বাড়ি। সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ আকুল আবেদন করেছে তাকে যেন একটা থাকার জায়গা করে দেন। তিনি বলেন আমার স্বামী দীর্ঘদিন হল মারা গেছে। আমি খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে বেঁচে আছি। স্বামীর একমাত্র ভিটে মাটি তাও নাই। আছিয়া বানুর এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করে আর মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। প্রতিবন্ধীর স্মার্ট কার্ড হলেও কোনো ভাতা কার্ড এখনো পাননি।  বড় অসহায় জীবন যাপন করে আছিয়া বানু। এ বাড়ি ও বাড়ি চায়া খায় সে। দীর্ঘদিন হল অসুস্থ আছিয়া বানু চলাফেরা করতে পারে নাই! কিন্তু অনেকের সহযোগিতায় চিকিৎসা করে এখন একটু লাঠিতে ভর করে চলাফেরা করতে পারে। অসুস্থ হলেও নেই তার ঔষধ পথ্য কিনে খাওয়ার কোনো টাকা পয়সা। জীবনটা তার অনেক কষ্টদায়ক।

কান্না জড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে তাই আছিয়া বানু বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে একটা থাকার ঘর করে দিত তাহলে আমি মরেও শান্তি পাবো। প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটা ঘর করে দিলে সেই ঘরে থেকে নামাজ পড়ে তার জন্য দোয়া করতাম। আছিয়া বানু বলে প্রধানমন্ত্রী কি আমার এ আবেদন শুনবে? বাড়ি ঘর না থাকায় আছিয়া বানু অন্যের বারান্দা ও এর ওর বাড়ি থেকে বেড়ায়। তাই আছিয়া বানু বলেন যে কোনো জায়গায় হোক আমার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিলে খাই না খাই অন্তত ঘরে শুয়ে মরবার পারতাম। 

প্রতিবেশী আমজাদ বলেন, তার স্বামী অনেক আগে মারা যায়! কিন্তু বাড়ি-ঘর, জায়গা জমি না থাকায় আছিয়া বানু অনেক কষ্টে আছে। তার একটা থাকার ঘর খুব প্রয়োজন। সেও বলে যে শুনি প্রধানমন্ত্রী নাকি অসহায় গৃহহীন পরিবারকে ঘর দিচ্ছে তাই আছিয়া বানু কে একটা ঘর দেয়ার অনুরোধ করছি। প্রতিবেশী শাহারা বেগম বলেন, আছিয়া বানু দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ।

সে মানুষের বারান্দায় রাত কাটায় তাই সরকার যদি তার একটা থাকার ঘর করে দিত তাহলে খুব ভালো হত।প্রতিবেশী মোস্তফা কামাল জানায়, আছিয়া বানু আমার প্রতিবেশী কিন্তু তার অনেক কষ্টে দিন যায়। অসুস্থ মানুষ সে ঘর না থাকায় অনেক সমস্যা তার। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি তাকে একটা ঘর করে দিত তাহলে তার জন্য খুব ভালো হতো।