পলাশবাড়ী‌তে কৃষক হত্যা মামলায় জামায়াত নেতাসহ ৮ জনের আমৃত্যু কারাদন্ড, খালাস-৮

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:৫৮ অপরাহ্ন, ১৮ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে কলেজ কমিটিকে কেন্দ্র করে এক কৃষককে হত্যার দায়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ আটজনকে আমৃত্যু কারাদন্ড ও ৮ জন‌কে খালাস  দিয়েছে আদালত। জ্যৈষ্ঠ জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে এ রায় দেন।

দন্ডিতরা হলেন, পলাশবাড়ী উপ‌জেলা প‌রিষ‌দের সা‌বেক চেয়ারম‌্যান নজরুল ইসলাম লেবুসহ আবদুর রউফ, জালাল উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, শাহআলম, ফারুক মিয়া, মিজানুর রহমান ও আবু তালেব।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে পলাশবাড়ী উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের একটি কলেজের কমিটিকে কেন্দ্র করে ওই কলেজের অধ্যাপক মো. আব্দুলের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম লেবুর বিরোধ দেখা দেয়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নজরুলের লোকজন আব্দুলের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পাশের সুইগ্রামের কৃষক হাসান আলী আব্দুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তিনিও আহত হন। তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় হাসানের বড় ভাই আবুল কাশেম ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নজরুল ইসলামসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আইনজীবী শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, পুলিশ এ মামলায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে বিচারিক প্রক্রিয়া চলার পর আদালত আটজনকে আমৃত্যু কারাদন্ড ও একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড সহ অনাদায়ে আরও সাত বছর কারাদন্ড দিয়েছে। এই মামলায় আটজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।