রাজশাহীতে শিক্ষানবিস আইনজীবী শাহীন শাহ হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ২২ জনের যাবজ্জীবন

মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী ব্যুরো
মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী ব্যুরো মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ন, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১২:২৩ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতা ও শিক্ষানবিস আইনজীবী শাহীন শাহ হত্যা মামলায় নয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও ২২ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালন। এ রায় ঘোষণা ১৪ বার পিছিয়ে ১৫ বারে ঘোষণা করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ও এইচ এম ইলিয়াস হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুসাব্বিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আদালতে এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়। কিন্তু সেদিন থেকে এ রায় ঘোষণা ১৪ বার পিছিয়ে দুইবছর পর বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) চাঞ্চল্যকর মামলার রায়ের ঘোষণা দেন আদালত।

নিহত শাহীন শাহ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ ও এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজব আলীর ছোটভাই। ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন শাহীন শাহ। শিক্ষানবিশ আইনজীবী শাহীন শাহ রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

তাকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে পরদিন নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনসুর রহমানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

প্রকাশ্যে এই খুনের ঘটনায় শাহিন শাহর স্বজনরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছিলেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী বলছেন, তারা আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন। তাই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে।

মামলার বাদী মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান বলেন, আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু বেশ কয়েকবার এ রায় ঘোষণা পিছিয়ে। দিনদুপুরে প্রকাশ্যে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছিল। তাই আমরা কিছুটা শঙ্কিত ছিলাম। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।

তিনি বলেন, হত্যাকারীদের সবাই দিনের আলোয় দেখেছেন। তার ভাই একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। তাকে হত্যা করায় তার স্ত্রী-পুত্রসহ পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।