রাঙামটির নানিয়ারচরে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণে বৃদ্ধের আমৃত্যু কারাদন্ড

আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ন, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১:৪৪ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

রাঙামটির নানিয়ারচরে শারিরীক প্রতিবন্ধী শিশু(১১)কে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হারুন অর রশিদ(৮৫) নামে এক বৃদ্ধকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। একই সাথে ৩লক্ষ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬০দিনের মধ্যে আসামীর সহায় সম্পদ বিক্রয় করে এই অর্থ আদালতে জমা দানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার(১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক(জেলা ও দায়রা জজ) এ.ই.এম. ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন। এটি জেলার এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রায় বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ৪অক্টোবর সকালে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ইসলামপুর মধ্যপাড়ায়। মায়ের অনুপস্থিতে একা পেয়ে শিশুটিকে তার নিজ ঘরেই ধর্ষণ করে হারুন অর রশিদ। ঘটনাস্থলে হাতে নাতে ধরা পড়ে ধর্ষক। পরে প্রতিবেশি ও স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় ওই দিনই নানিয়ারচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে ধর্ষিতার মা।

দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে আসামী হারুন অর রশিদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় (দায়রা মামলা নম্বর- ৭২/২০২১) ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ.ই.এম. ইসমাইল হোসেন। রায়ে বলা হয় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হল। এবং উক্ত অপরাধের দায়ে আসামী আমৃত্যু যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৩লক্ষ টাকা জরিমানার দন্ড প্রদান করা হল। আসামীকে আগামী ৬০দিনের মধ্যে উক্ত জরিমানার অর্থ বিধি মোতাবেক জমা দানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আসামী কর্তৃক পরিশোধিত জরিমানার অর্থ প্রতিবন্ধী ভিকটিমের পিতা-মাতা তাদের সন্তানের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রাপ্ত হবেন।

তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে আসামীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও নিলামে বিক্রয় করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ ট্রাইব্যুনালে জমা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসককে। 

তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামী পক্ষের আইনজীবি। 

তিনি বলেন, ৫ডিসেম্বর মামলার স্বাক্ষী ও জেরা শুরু করে আজ ১৫ডিসেম্বর অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে এ রায় দেয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম(পিপি) বলেন, স্বাক্ষপ্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ সক্ষম হওয়ায় এই রায় দেয়া হয়েছে। এটি রাঙামাটির আদালতে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শাস্তির দন্ড ভিকটিম এ রায়ে ন্যায় বিচার পেয়েছে।