রংপুরে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া অনেক পরিবার বেচে নিয়েছে নতুন পেশা

আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি আপেল মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:২০ অপরাহ্ন, ০৫ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১০:২০ অপরাহ্ন, ০৫ জুলাই ২০২১

সারাদেশে করোনা সংক্রমনের বিস্তাররোধে সরকারের দেওয়া ১ সপ্তাহের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে রংপুরের নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ। পরিবার নিয়ে জীবন-যাপনে হিমশিম খাচ্ছে তারা। ফলে জীবিকার তাগিদে করোনা ঝুঁকিতেও বেছে নিয়েছে নতুন পেশায়। রংপুর নগরীর খোর্দ্দ তামপাট সর্দ্দারপাড়া ব্রীজের পাশে বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার ধারে এমন চিত্র চোখে পড়েছে বিডি দর্পন ২৪.কমের।

জীবিকা নিয়ে হতাশায় জর্জরিত একটি পরিবারের নিম্ন আয়ের জীর্ণসির্ন লোকজনকে স্ব-পরিবারে নির্মানাধীন ড্রেন কিংবা রাস্তা ও বিভিন্ন ভবনের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাথর কুড়াতে দেখা গেছে। এসময় তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের মধ্যে একজন রাজমিস্ত্রী ও বাকী তিনজন মহিলা ছাত্রাবাসে ঝি এর কাজ করত। কিন্তু বর্তমান সময়ে চলমান লকডাউনের কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায় কাজে ফিরে যেতে পারছে না, ফলে পরিবার পরিজনকে নিয়ে ভুগছে খাদ্য সংকটে।আর এই সংকট নিরাসনের জন্য তারা রাস্তার পাশে পরে থাকা পাথর কুড়াতে।

সারাদিন পাথর কুড়িয়ে তা বিক্রি করে যা আয় হয় সেই আয় দিয়ে কেবলমাত্র ক্ষুধা নিবারণ করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে তারা। নতুন পেশায় সম্পৃক্ত একজন মহিলা বলেন- আমরা মেসে কাজ করে অন্তত পরিমানে কম হলেও সন্তানদের নিয়ে প্রতিদিন কখনো দুই বেলা আবার কখনো তিন বেলা খেতে পারতাম। কিন্তু কঠোর লকডাউনে তাও পাচ্ছি না। এর আগের লকডাউনে তবু কয়েজন মেসে ছিল এবার কঠোর লকডাউনের ফলে মেসে কেউ নাই, ফলে আমি কর্মহীন হয়ে পড়েছি, আমার পরিবারে অন্য কেউ কর্মক্ষম নেই।

তাই পরিবারের লোকজনের মুখে খাবার তুলে দিতে রাস্তায় নেমেছি পাথর কুড়াতে। সারাদিন পাথর কুড়িয়ে বিক্রি করে যা আয় হবে তা দিয়ে অন্তত কিছু হলেও খাবার কিনে সন্তানদের মুখের সামনে দিতে পারব। আমরা সরকারের নির্দেশ অমান্য করছি না, সরকার আমাদের ভালোর জন্যই লকডাউন দিয়েছে, কিন্তু আমাদের পেটে খাবার না থাকলে কিভাবে ঘরে থাকি।

এসময় বিডি দর্পন ২৪.কমের সংবাদকর্মীর মাধ্যমে সরকারের কাছে স্থানীয়ভাবে খাদ্য সহায়তার দাবী জানিয়েছেন তারা।