পুঠিয়ায় ইউএনও'র উদ্যোগে অনলাইনে কোরবানির গরুর হাট

মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী ব্যুরো
মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী ব্যুরো মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত: ২:৫৩ অপরাহ্ন, ০৭ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১২:০৫ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

ঈদুল আযহার আরো সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকলেও এরই মধ্যে অনলাইনে গরু খোঁজা শুরু হয়ে গেছে। পবিত্র কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ক'বছর ধরে বাংলাদেশে অনলাইনে কোরবানির গরু-ছাগল বিক্রি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় শুরু হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে 'পুঠিয়া উপজেলা অনলাইন কোরবানির গরুর হাট' নামে অনলাইন গরুর হাট।

যেখানে কাজ করছে কিছু স্বেচ্ছাসেবক টিম। এই অনলাইন হাটসহ ঈদ ঘনিয়ে এলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলে গরু কেনাবেচা । তাই শহরকে ছেড়ে এখন গ্রামগঞ্জেও মোবাইলে গরুর ছবি দেখে কেনাবেচা চলছে। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আসন্ন ঈদুল আযহায় ডিজিটাল গরুর হাটের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন ।

সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাটে না গিয়ে অনলাইনে কোরবানির পশু কেনার অনুরোধ জানিয়ে ফেসবুকে প্রচার চালাচ্ছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। উপজেলার সকলকে হাটে না গিয়ে অনলাইনে গরু কেনার জন্য উৎসাহিত করছেন তিনি। গরুর মালিকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, দেশি গরু, খাড়া শিং, গায়ের রং লাল কালো মিশ্রন, ১৮ মাস বয়স, ২ টি দাঁতের এই গরুর ওজন আনুমানিক ৮ মণ। উপজেলার ভালুকগাছী এলাকার আকবর আলী 'পুঠিয়া উপজেলা অনলাইন কোরবানির গরুর হাট' অনলাইনে গরুর দাম বলছেন ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।


পুঠিয়ার কাঠালবাড়িয়া এলাকার বজলুর রহমানের একটি ৪ দাতের কালো ষাড়ের ৯ মণ ওজনের গরুর দাম বলছেন ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। শিলমাড়িয়া এলাকার রহিদুল ইসলামের ২ দাঁতের ৭ মণ ওজনের গরুর দাম হাকছেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। ঈদের আগে পরিবারের সদস্য নিয়ে হাট ঘুরে পছন্দের গরু-ছাগল কেনার আনন্দ অনেক বেশি।

কিন্তু করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং সংক্রমণের উচ্চ ঢেউ ভাঙ্গতে কার্যকর ‘কঠোর লকডাউন’ এর কোন বিকল্প নেই। কুরবানির পশুর হাটে জনসমাগম ঠেকাতে সবাইকে অনলাইনে গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অনুরোধ জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, পশুর হাটে জনসমাগম ঠেকাতে সবাইকে অনলাইনে গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আমরা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছি।

এবং যে সকল খামারি বা কৃষকের ফেসবুক নেই, তাদের পশুকে অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক টিম কাজ করবে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবক টিম খামারির বাসায় গিয়ে প্রয়োজনীয় ছবি, ভিডিও ও তথ্য নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ব্যবস্থা করবে। তাই সবাই ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন।