রংপুরে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু-২১, শনাক্ত-৭৪৮
রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের এবং শনাক্ত হয়েছে ৭৪৮ জন। এই পরিসংখ্যান রংপুর বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)।
রবিবার (১১ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মোঃ জাকিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন- শনিবার (১০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে গাইবান্ধা জেলার ৩ জন, রংপুরের ৬, দিনাজপুরের ৫, কুড়িগ্রামের ২, ঠাকুরগাঁওয়ের ২ এবং লালমনিরহাট, নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলার ১ জন করে রয়েছেন।
শনিবার (১০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় এ বিভাগে ২ হাজার ১৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের ১৫৭, দিনাজপুরের ১০৯, রংপুরের ১০৬, পঞ্চগড়ের ৯৮, কুড়িগ্রামের ৯০, নীলফামারীর ৮৮, গাইবান্ধার ৬৪ ও লালমনিরহাট জেলার ৩৬ জন রয়েছে।
বিভাগে শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৭৫ হাজার ১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, পরীক্ষায় ৩২ হাজার ৭১৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। নতুন করে মারা যাওয়া ২১ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫৩ জনে।
এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার ২২৩ জন, রংপুরের ১২৯, ঠাকুরগাঁওয়ের ১১৭, নীলফামারীর ৪৫, লালমনিরহাটের ৪৩, কুড়িগ্রামের ৩৪, গাইবান্ধার ৩২ ও পঞ্চগড়ের ৩০ জন রয়েছেন।
রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত করোনার রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৪২৮ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় নতুন শনাক্ত ৭৪৮ জনসহ বিভাগে ৩২ হাজার ৭১৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে রংপুর জেলায় ৭ হাজার ২০৩ জন, দিনাজপুরে ১০ হাজার ২৪৮ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৪ হাজার ৫৭৯ জন, গাইবান্ধায় ২ হাজার ৬৫৬ জন, নীলফামারীর ২ হাজার ৩৮৩ জন, কুড়িগ্রামের ২ হাজার ২৭২ জন, লালমনিরহাটের ১ হাজার ৮৩০ জন এবং পঞ্চগড়ের ১ হাজার ৫৪৫ জন রয়েছেন।
রংপুর বিভাগের ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোত বেড়েছে করোনা রোগীর শনাক্ত ও মৃত্যু হার। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মোঃ জাকিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, করোনার ভয়াবহতা থেকে পরিত্রাণের জন্য বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে এবং সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
