সাপাহারে কোরবানীর পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি
মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ন, ১৩ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১:০২ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার উমইল কোরবানীর পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত খাজনা নেওয়ার ফলে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, সীমান্তবর্তী এই উপজেলার উমইল বাজারে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবারে গরুর হাট বসে। গবাদী পশু কেনাবেচার জন্য বড় হাট হওয়ায় এলাকার মানুষের ভরসাস্থল এই হাট। প্রতি মঙ্গলবার এই হাটে পশু কেনা-বেচা চলে। গত পহেলা বৈশাখ ১৮২৮ বাংলা সনে এই পশুর হাটটির ইজারা না হবার ফলে প্রতি সপ্তাহে সরকারী ভাবে খাস আদায় করা হয়।

যে অর্থ রাজস্ব খাতে জমা হয়। সরকারী ভাবে প্রতি গরুর খাজনা ৪শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু হাটে পশু কিনতে আসা ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, গরুপ্রতি ৫শ’ টাকা খাজনা নেওয়া হচ্ছে। যা সরকার নির্ধারিত খাজনার থেকে অতিরিক্ত ১শ’ টাকা । এছাড়াও বিক্রেতাদের কাছ থেকে গরুপ্রতি ২০/৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন বিক্রেতারা।

মঙ্গলবার দুপুরে (১৩ জুলাই) উমইল হাটে গরু কিনতে আসা নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা জানান, কোরবানীর গরু কিনেছি ৪৫হাজার টাকায়। খাজনা দিয়েছি ৫শ’ টাকা। আরেকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ২টি গরুর খাজনা নিয়েছে ১হাজার টাকা। এবিষয়ে হাটের দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন বক্তব্য না দিয়ে সাক্ষাতে কথা বলার জন্য বলেন।

উমইল হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগন এটার দায়িত্বে আছেন। আমি বিষয়টি জানিনা। তবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা নয়। বিষয়টি নিয়ে আমি তাদের সাথে কথা বলবো