পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

অনলাইন সংস্করণ
অনলাইন সংস্করণ অনলাইন সংস্করণ
প্রকাশিত: ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, ১৪ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, ১৪ জুলাই ২০২১

আজ ১৪ জুলাই, বুধবার সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৯ সালের এইদিনে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। করোনার মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনটি পালনে জাপা নানা কর্মসূচি নিয়েছে।

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর নেতৃত্বে দলের শীর্ষ নেতারা আজ সকালে রাজধানীর কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এরশাদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। সকাল থেকে কাকরাইল কার্যালয়ে এরশাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআনখানি হবে।

দুপুরে সেখানে সংক্ষিপ্ত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখবেন জি এম কাদেরসহ দলের শীর্ষনেতারা। কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে দুপুরে সুবিধাবঞ্চিত ১০ হাজার মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন জাপা চেয়ারম্যান।

জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু জানান, রংপুরে এরশাদের কবর জিয়ারত ও সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন দলের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

সেখানে স্থানীয়ভাবে কোরআনখানি, মিলাদ-মাহফিল ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে। সারা দেশে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় মসজিদে দোয়া-মাহফিল আয়োজনেরও কর্মসূচি রয়েছে।

এছাড়া জাপার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভার আয়োজন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮২-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ৯ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিসহ গ্রাম-বাংলার উন্নয়নে কাজ করেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক বিল মওকুফসহ উপজেলা ব্যবস্থার প্রবর্তকও ছিলেন সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধান। তার আমলেই মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ওষুধ নীতি প্রণয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ঢাকার বেড়ি বাঁধ নির্মাণ, যমুনা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করাসহ তার যুগোপযোগী সিদ্ধান্তগুলো এখনো প্রসংশনীয় ও অমলিন।

১৯৮৬ সালে এরশাদ প্রতিষ্ঠা করেন জাতীয় পার্টি। শুরু থেকেই বৃহত্তর রংপুর জাতীয় পার্টির দুর্গে পরিণত হয়। আর তাই সাবেক সেনা প্রধান হলেও মৃত্যুর পর ভক্ত-অনুসারীদের দাবির মুখে এরশাদকে রংপুরের পল্লী নিবাসে সমাহিত করা হয়।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে পরিবারের সঙ্গে রংপুরে চলে আসেন। নব্বই বছর বয়সে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।