সুন্দরগঞ্জে ছাত্রদল নেতা এখন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ন, ২৯ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ৬:১৭ অপরাহ্ন, ২৯ জুলাই ২০২১

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের নেতা ছিলেন একসময় বলে অভিযোগ উঠেছে।

অনুপ্রবেশকারী এ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিসহ জেলা, উপজেলা কমিটির নিকট অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালে উপজেলার বামনডাঙ্গা আঞ্চলিক শাখার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন রাসেল। পরে ২০০৩ সালে উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।

২০১০ সালে উপজেলার আজেপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করেন। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় জিআর ২৭৫/২০১০ নং মামলা দায়ের করেন মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সাত্তার। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তথা ছাত্রদলের নেতা পরবর্তীতে সেই মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগের কর্মী বনে যান। পরে সুযোগ বুঝে সত্য গোপন করে তিনি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক পদটি বাগিয়ে নেন বলে দাবী অনেকের।

এ নিয়ে উপজেলায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। দীর্ঘ দিন ধরে বিষয়গুলো ধামাচাপা পরে থাকলেও স্বেচ্ছাসেবক লীগের গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি মোশাররফ হোসেন দুলাল এবং সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু আমলে নিয়ে তদন্ত করে গত ১২ জুলাই আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন এবং ৭ দিনের মধ্যে তার জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। 

এ বিষয়ে জানতে আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি জানান, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক। আমাকে এই মিথ্যা অভিযোগের কারণে নোটিশ দেয়া হয়েছিল আমি তথ্য প্রমাণসহ জবাব দাখিল করেছি।

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু বলেন, তথ্য গোপন করায় তাকে দল থেকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হবে না? তা জানতে চেয়ে জেলা কমিটি থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। সে ইতোমধ্যেই নোটিশের জবাব দিয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।