সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লিখন হত্যাকারীদের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪:৪৮ অপরাহ্ন, ০৭ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ২:০৪ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হাসান লিখন (৩৮) হত্যা মামলার সকল আসামিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার (০৬ আগস্ট) বিকেলে শহরের ডিবি রোডে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে লিখনের বন্ধুরা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

এতে নিহত মঞ্জুরুল হাসান লিখনের সহপাঠী বন্ধুরা ছাড়াও যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসীসহ স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গাইবান্ধা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল হাসান লিখন হত্যার সকল আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়ে চঞ্চল সাহার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- যুবলীগ জেলা সভাপতি সরদার মো. শাহিদ হাসান লোটন, সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবিব রাজিব, জাসদ নেতা ও সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম খুদি, সাবেক ছাত্রনেতা পলাশ, সুজন প্রসাদ, মোফাশর আহম্মেদ, রাহাত মাহমুদ রনি, মেহেদি হাসান প্রিন্স, শহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগ জেলা সভাপতি মোহাম্মদ আসিফ সরকার, আরিফুল ইসলাম বাবু, জেলা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক সভাপতি ওয়াসিম আলম, শ্রমিক নেতা সুমন প্রমূখ।

বক্তরা লিখন হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, শুধু তারা নয়, যারা মদদ দিয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হোক। মানববন্ধন শেষে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ করে পৌরপার্কে এসে শেষ হয়।

এদিকে আম কেনা নিয়ে বচসার পর হামলায় নিহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতার দাফন শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি ফলের দোকান জ্বালিয়ে দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) বিকেলে জেলা শহরের হকার্স মার্কেট সংলগ্ন সেই আম বিক্রেতার দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়; এতে বেশ কয়েকটি ফলের দোকান পুড়ে যায়।

পুলিশ ও গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস জানায়, বৃহস্পতিবার বাদ আসর শহরের গোরস্থান পাড়া জামে মসজিদে নিহত লিখনের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পৌর গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। জানাজা শেষে ফিরতি জনতা শরিফ মিয়ার আমের দোকানে আগুন দেয়।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক এনামুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। “আগুনে ৫/৬টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি।