লকডাউনে লোকসানের মুখে কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রামের কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা

এ আর রাকিবুল হাসান,, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
এ আর রাকিবুল হাসান,, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: এ আর রাকিবুল হাসান,, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ন, ০৭ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

লকডাউনে লোকসানের মুখে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা।চলমান লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পাইকারী কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছে এবং কাঁঠালের দামও পাচ্ছেন না কাঁঠাল বিক্রেতারা।সাধারণত মৌসুমের শুরুতেই আগাম কাঁঠাল কিনেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগাম ক্রয় করা এসব কাঁঠাল সংগ্রহ করে বাসের ছাদে কাঁঠাল দেশের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে ঢাকার কারওয়ান বাজারে সরবরাহ করেন। কিন্তু মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনে  দুরপালার বাস বন্ধ থাকায় আগাম কেনা কাঁঠাল উপজেলার বাইরে পাঠাতে পারেননি।অপর দিকে স্থানীয় বাজারে কাঁঠালের সরবাহ পর্যাপ্ত থাকায় এর ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের মুখে পড়েছে কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা।

উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে,বর্তমান বাজারে একটি বড় সাইজের কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ছোট সাইজের একটি কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। অথচ অন্যান্য বছর এ সময়ে একটি বড় কাঁঠাল ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতো। 

আমজাদ হোসেন নামে এক পাইকারী ব্যবসায়ী জানান,  ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ৭ জন কৃষকের বাগান কিনেছি।কাঁঠাল পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাইরে পাঠাতে পারতেছিনা। স্থানীয়ভাবে চাহিদা না থাকায় এবং দাম কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। 

আব্দুস ছামাদ নামের এক কাঁঠাল ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁঠাল কিনে তা বিক্রির জন্য ঢাকার কাওরান বাজারে প্রেরণ করি। কিন্তু চলমান লকডাউনে ঢাকার ব্যবসায়ীরা কাঁঠাল কিনতে না চাওয়ায় ক্রয়কৃত কাঁঠাল নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছি। এতে লাভ তো দূরে থাক আসল টাকাও ওঠববেনা।।