গোবিন্দগঞ্জে বিধবা আছিয়ার ভাতা তুললেন আব্দুল হান্নান আকন্দ

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২:৩৬ পূর্বাহ্ন, ০৮ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ২:০৪ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বয়স্ক ও বিধবা ব্যক্তিদের ভাতা অন্য ব্যক্তিদের ফোনে গ্রহণ করে তা উত্তোলন করে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলাজুড়ে কার ভাতা কে খায় অবস্থা দাঁড়িয়েছে। উপজেলার বিধবা আছিয়া বেগমের ভাতা আব্দুল হান্নান আকন্দের মোবাইল নম্বরে (০১৭১৯-৭৩৭৬৯৬) গেলে তিনি তা উঠিয়ে নিলেও সুবিধাভোগীকে প্রদান না করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ৫১ হাজার ৯৯৫ জন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে অনেক ইউনিয়নে কিছু দালাল ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্যরা কিছু কিছু বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীদের একাউন্ট নাম্বারে কৌশলে তাদের নিজেদের আয়ত্তে থাকা মোবাইল নাম্বার যুক্ত করে দিয়েছেন। ফলে উপজেলাজুড়ে শত শত সুবিধাভোগীরা তাদের ভাতা বাবদ প্রদেয় অর্থ তুলতে পারেননি। এমন অবস্থায় সুবিধাভোগীরা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করে তাদের প্রকৃত নাম্বার জমা দিয়ে একাউন্ট সংশোধন করার আবেদন করেন। কিন্তু পূর্বের প্রদেয় অর্থ ওই দালালরা তুলে নিয়েছেন। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের পোগইল খামার পাড়া গ্রামের মৃত ফজর উল্ল্যার স্ত্রী আছিয়া বেগম তার বিধবা ভাতার প্রথম কিস্তির টাকা পাননি। বিষয়টি জানার পর তিনি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করলে সেখানে জানতে পারেন ০১৭১৯-৭৩৭৬৯৬ নম্বরে টাকা জমা হয়েছে। জমাকৃত টাকা ওই নাম্বারধারী ব্যক্তি আব্দুল হান্নান আকন্দ তুলেও নিয়েছেন। বিষয়টিতে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করে আছিয়া তাঁর নতুন মোবাইল নম্বর জমা করেন। এ নাম্বারেই তিনি তাঁর দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ উত্তোলন করেন এবং প্রথম কিস্তির জন্য আব্দুল হান্নান আকন্দর সাথে যোগাযোগ করেন। তখন তিনি বলেন, যে টাকা তুমি পেয়েছ সেটিই প্রথম কিস্তির টাকা। এ বিষয়ে আব্দুল হান্নান আকন্দর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিবধা আমার সম্পর্কে দাদী। তাঁর কার্ডটি আমিই করে দিয়েছি। মোবাইল নাম্বারটি আমার ছিল। আমি টাকাও পরিশোধ করেছি। কিন্তু বিধবা বলেন, তার একাউন্টে দুটি কিস্তি জমা হয়েছে এবং তার মধ্যে তিনি একটি কিস্তির টাকা পেয়েছেন। আর একটি কিস্তির টাকা এখনো পাননি।

বিষয়টিতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিউল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আছিয়া বেগম তাঁর ৬৪২৯৯৫৬৩৫৯ নম্বর কার্ডে দুটি কিস্তির টাকা পেয়েছেন। প্রথম কিস্তির মোবাইল নম্বর ০১৭১৯৭৩৭৬৯৬। টাকা না পাওয়ার অভিযোগ অফিসে জানালে পরে ০১৭৩৮৯৫৬৪৯২ নম্বরটি সংশোধন করে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রথম কিস্তির টাকা সুবিধাভোগী পাননি বলে জানালে তিনি বলেন, প্রথম কিস্তির টাকাও উক্ত নাম্বার থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। তিনি পেয়েছেন কি-না আমি জানি না।