গাইবান্ধায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লিখন হত্যার বিচার ও হত্যাকারিদের শাস্তি দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:৩৭ অপরাহ্ন, ০৮ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ১১:২২ পূর্বাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল হাসান লিখন হত্যার বিচার ও হত্যাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ এই হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী লাগাতার কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। ৮ আগস্ট রবিবার গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে নিহত লিখনের বন্ধুদের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবিসহ এই কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হয়।  

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক সময়ে গাইবান্ধায় ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত চারটি হত্যাকান্ড অপহৃত ব্যবসায়ি হাসান আলীকে নির্যাতন করে হত্যা, ব্যবসায়ি রোকন সরদারকে ছুরকাঘাতে হত্যা, ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকিকে কুপিয়ে হত্যা এবং পোশাক শ্রমিক নান্নু মিয়াকে হত্যা করে লাশ গুম করার ঘটনাসহ উল্লেখিত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ, দ্রুত বিচার এবং হত্যাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রম অবনতিতে সংবাদ সম্মেলনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখন হত্যার বিচার ও হত্যাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামী ১২ আগস্ট বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ ১৫ দিনব্যাপী লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়াও ২৩ আগস্ট নিহত লিখনের স্মরণে শোকসভারও ঘোষণা দেয়া হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব রাজিব, গাইবান্ধা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মো. সাঈদ হোসেন জসিম, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওয়াজেদ হাসান শাওন, জেলা যুবজোট সভাপতি সুজন প্রসাদ, সাংবাদিক ইদ্রিসউজ্জামান মোনা, আরিফুল ইসলাম বাবু, রিক্সা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান সুমন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, লিখনসহ গত চার মাসে গাইবান্ধা সদরেই ৫টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে যা রীতিমত উদ্বেগজনক। সেইসাথে এইসব হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। শুরুতেই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেলে এতগুলো হত্যাকান্ড সংঘটিত হত না। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে এসব হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।