পীরগাছায় খাবারে বিষ মিশিয়ে ৯টি গরু হত্যার চেষ্টা

একরামুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
একরামুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি একরামুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ন, ০৯ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ১:৪৩ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

রংপুরের পীরগাছায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা একটি গরুর খামারে খাবারে বিষ মিশিয়ে ৯টি গরু হত্যা চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারি জহুরুল ইসলাম। ৯টি গরু হত্যা চেষ্টায় একটি ফ্রিজিয়াম গুরু মারা যায় এতে তাঁর প্রায় ১লক্ষ ৬০হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। গত শুক্রবার (৬আগস্ট) সন্ধ্যার পর উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তেয়ানী মনিরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সোমবার (৯আগস্ট) পীরগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা যায়, মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৯) তিন-চারটি অস্ট্রেলিয়ান গরু নিয়ে নিজ বাড়িতে রাইসা ডেইরি খামার নামে একটি গরুর খামার শুরু করেছিলেন। ক্রমে খামারটি বড় হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে জহুরুল ইসলামের সংসার ভালোভাবেই চলছিলো। খামারের তদারকি তিনি নিজেই করেন।

তিনি জানান, শুক্রবার (৬আগস্ট) সন্ধ্যার পর পর্যায়ক্রমে ৯টি গরুকে খামারে খড়কুটার খাবার দেওয়া হয়। খাবার খেয়ে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাড়ে ছয়টার মধ্যে সুস্থ–সবল বড় গরুগুলো একে একে দাপাতে দাপাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। প্রতিটিই পেট ফুলে ওঠে খাবার খাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে এভাবে আধা ঘণ্টার মধ্যে ১টি গরু মারা যায় এবং বাকি গরু গুলো গুরুতর অসুস্থ হয়। তিনি আরও জানান, চারির পানিতে কাটাপ জাতীয় ওষুধ মেশানো হয়েছিল।

প্রতিবেশীরা জানান, খামার দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত তার বাবার চিৎকার শুনে তাঁরা ছুটে এসে গরুগুলো অসুস্থ হয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে পান। দ্রæত তাঁরা স্থানীয় গরুর ডাক্তারকে জানান। ডাক্তার বলেন, গরুগুলো কোনো রোগে মারা যায়নি। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মারা গেছে।

খামারের মালিক জহুরুল ইসলাম বলেন, শত্রুতা করে আমার সঙ্গে এই কাজ কেউ করতে পারে, তা আমার ধারণার বাইরে। কিন্তু যেহেতু বিষযুক্ত খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় গরুগুলো মারা গেছে, সেহেতু শত্রুপক্ষই যে এই কাজ করেছে তাতে কোনো ভুল নাই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। ১টি গরু মারা যাওয়ায় প্রায় ১লক্ষ ৬০হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন কিভাবে এনজিও থেকে নেয়া ঋণ শোধ করব, আর কী দিয়া সংসার চালাব?’

পীরগাছা থানার ডিউটি অফিসার মো. আক্কাস আলী জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে।