তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত

এ,এল,কে খান জিবু, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
এ,এল,কে খান জিবু, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি এ,এল,কে খান জিবু, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:০৫ অপরাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ক্রমেই বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা।

বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । ১৩ আগষ্ট ভোর থেকে ৬ থেকে তিস্তার পানি হুহু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তারচর অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে চরের নিম্ন এলাকায় শতাধিক পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়ছে। সাথে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙ্গন।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকালে দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপরে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। তবে হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা পাড়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উল্লেখ থাক যে, ২০১৭ সালে এই ১৩ আগষ্ট অত্র এলকায় সর্বোচ্চ বন্যা হয়েছিলো। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারাজ পয়েন্টে  ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯ টায় পয়েন্টে  ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার যাহা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এবিষয়ে হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনা মহামারি জন্য কালীগঞ্জ উপজেলায় ৩৬ মেট্রিক টন ও হাতীবান্ধা উপজেলায় ২৪ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী মজুত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, অত্র ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পানিবন্দি পরিবারের তালিকা নিয়ে দ্রুত খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।