চকরিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত নোবলের হত্যার ঘটনায় মামলা, এনাম্যা ডাকাতসহ আটক ৫

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার প্রতিনিধি কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ন, ১৯ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ১০:৫৩ অপরাহ্ন, ১৯ অগাস্ট ২০২১

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের মুবিনপাড়া গ্রামে জমি জবর দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা, নাছির উদ্দিন নোবেল ও ৯ জনের আহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ আগষ্ট দুপুর ১২টায়।

 উক্ত মামলায় প্রধান আসামী করা হয় বিগত নির্বাচনে প্রার্থী যুবলীগ নেতা খলিল উল্লাহ চৌধুরীকে। এছাড়া এজাহারে আরো ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১২কে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জনতার সহযোগিতায় ৫ আসামীকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।  নোমেল হত্যা কান্ডের ঘটনার মামলার বাদী হয়েছেন, মৃত খালেদের পুত্র মামুনর রশিদ (৩১)। তার বাড়ি চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড়ভেওয়ালার সিকদার পাড়া ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। 

ঘটনার পর স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে একই ইউনিয়নের মৃত নাদের হোসেনের পুত্র হেলাল উদ্দিন ও মৃত আলি হোসেনের পুত্র নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া গতকাল ১৯ আগষ্ট হত্যা কান্ডের ঘটনায় উপকূলীয় জোনের চিহিৃত সন্ত্রাসী বহু মামলার আসামী এনামুল হক প্রকাশ এনাম্যা ডাকাতকে জনতার সহয়োগিতায় আটক করতে সক্ষম হয়। এনাম্যা সহ ঘটনায় জড়িত আরো ৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।। এনাম্যা ডাকাত গ্রেফতারের খবরে চকরিয়া পৌর শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা এনাম্যা ডাকাতসহ সকল আসামীকে গ্রেফতার করে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারের দাবী জানান তারা। আটক কৃত অন্যান্য আসামীরা হলেন, রিয়াজ উদ্দিন, নুুরুল আমিন প্রকাশ সোনা মিয়া ও মিজবাহ।

জানা গেছে, পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের মুবিনপাড়া গ্রামের নিহত নাছিরের পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ২০শতক জমি ছিল।ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সশস্ত্র সন্ত্রাসী এনাম বাহিনীর নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন সন্ত্রাসী জোর পূর্বক ওই জমি জবরদখল করতে গেলে জমির মালিক নাছির উদ্দিন নোবেল এতে বাধাঁ দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নাছির উদ্দিন নোবেল ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। এসময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আরো ৯ জন আহত হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ জাফর আলম (৪৯), জাহিদুল ইসলাম (২৫), সরোয়ার হোসেন (৪০), মোহম্মদ শফি (৩৯), আজিজুল হক (৪৮), মিজানুর রহমান (৩০), আবুল কালাম (২২), নুরুল কাদের (৪৫)। তারা সবাই একই ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

চকরিয়া থানার ওসি শাকের মো: যুবায়ের জানায়,নিহতের ঘটনায় এজার দায়ের পর ২০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক করে আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা রজু করা হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার সুস্থ্য তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনায় জড়িত আসামীরা ধরা পড়বে।