মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ সুরত আলী দারোগা

মাসুদ রানা,পত্নীতলা( নওগাঁ) প্রতিনিধি
মাসুদ রানা,পত্নীতলা( নওগাঁ) প্রতিনিধি মাসুদ রানা,পত্নীতলা( নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ন, ২১ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ১:০০ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

শহীদ সুরত আলী ১৮৯৩ সালের ১০ জুন নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ডাসনগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭১ সালে ২২ আগস্ট পাকবাহিনীর নির্মম নির্যাতনে শহীদ হন ।

রাজশাহী কলেজ থেকে বিএ পাশ করার পর ১৯১২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনামলে পুলিশে যোগ দেন। চাকরি জীবনে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে চাকরি করেন। এজন্য তিনি এলাকায় সুরত আলী দারোগা হিসেবে পরিচিত। ১৯৫০ সালে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহচর হিসেবে ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁর নর্থ আসন থেকে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে তিনি এমএলএ নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মুুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন তিনি। সে সময় তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।

বিভিন্ন সময় তাঁর বাড়িতে মুুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছেন। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকায় ভারতের বালুরঘাট মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের রসদ সরবরাহ করতেন তিনি। এসব খবর জেনে যাওয়ায় একাত্তরের ১৫ আগস্ট সুরত আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় পাক সেনারা। মহাদেবপুর পাক সেনা ক্যাম্পে আটকে রেখে তাঁর ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় পাক সেনারা।

২২ আগস্ট তাঁকে হত্যা করে তাঁর লাশ আত্রাই নদে ভাসিয়ে দেয়। পরে তাঁর লাশের কোনো সন্ধান পাননি স্বজনেরা। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে ১৯১৪ সালে তাঁর নিজ গ্রামে শহীদ সুরত আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে।

তাঁর নামে সুরত আলী স্মৃতি পরিষদ আছে। আগামী কাল তাঁর ৫০ তম মৃত্যু বার্ষিকী। প্রতি বছর বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন দিনটি শ্রদ্ধাভরে স্মরন করেন।