সাপাহারে ইউপি সদস্য’র বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল চুরির মিথ্যা মামলা দায়ের

মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি
মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ন, ১৩ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১২:১২ পূর্বাহ্ন, ০৫ মে ২০২৪

নওগাঁর সাপাহারে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পরিত্যাক্ত মোটরসাইকেল উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা রাখা সত্বেও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মেদ কে আসামী করে মিথ্যা চুরি ছিনতাই মামলা দায়ের করেছে উপজেলার বিলকৃষ্ণসদা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে নুরুল ইসলাম বাবুল।

এলাকাবাসী স‚ত্রে জানা গেছে,উপজেলার বিলকৃষ্ণসদা গ্রামের কিছু খাস জমি স্থানীয় “কৃষ্ণসদা মদিনাতুল উলুম কওমী মাদ্রাসা”র দখলে ছিলো। যা ইতিপুর্বে স্থানীয় কয়েকজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি তাদের দখল সত্ত¡ ছেড়ে দিয়ে গ্রামের মাদ্রাসায় দান করেন। সে জমি হতে উৎপাদিত শষ্য দ্বারা এতিম শিশুদের ভরন-পোষন সহ মাদ্রাসার খরচ চলে আসছিলো। এমতাবস্থায় বরেন্দ্র বহুম‚খী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গৃহীত বিল খনন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। গত ২মার্চ দুপুরে মাদ্রাসার দখলীয় ওই খাস জমির উপরে প্রকল্প কর্র্তৃপক্ষ মাটি ভরাট কাজ শুরু করে। বিষয়টি নজওে আসলে ওইদিন প্রতিপক্ষ হারুন অর রশিদের ছেলে নুরুল ইসলাম বাবুল তার দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে মাটি ভরাট কাজে বাধা প্রদান করে। এসময় গ্রামের লোকজন প্রতিপক্ষদের প্রতিহত করে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতিপক্ষরা তাদেও অসৎ উদ্দ্যেশ্য হাসিল করার জন্য ওই গ্রামের মসজিদের নিকট রাস্তার পার্শ্বে একটি টিভিএস মোটরসাইকেল ফেলে চলে যায়। এদিকে ঘটনার কিছু পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মেদ প্রতিপক্ষের বাড়ীর সামনের রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে গোয়ালা ইউনিয়ন পরিষদে যাবার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে আটক করে মারপিট শুরু করে। হামলার সংবাদ পেয়ে কৃষ্ণসদা গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আটক ইউপি সদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। 

এঘটনার পরে এলাকাবাসী গ্রামের মসজিদের পাশে একটি মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মেদকে অবগত করে। পরে প্রকৃত মালিক খুঁজে না পাওয়ায় গ্রামবাসীরা ট্রলি যোগে মোটরসাইকেলটি গোয়ালা ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেন। এ দিকে গত ৪ মার্চ প্রতিপক্ষের নুরুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মেদ সহ ওই গ্রামের মাদ্রাসা কমিটির ১৭জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/২০ জনকে আসামী করে স্থানীয় থানায় একটি মোটরসাইকেল চুরি ও ছিনতাই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করে। বর্তমানে উল্লেখিত ওই মোটরসাইকেলটি গোয়ালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হেফাজতে রয়েছে। 

এবিষয়ে গোয়ালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান (জামান)এর দেয়া একটি প্রত্যায়ন পত্র সুত্রে জানাগেছে,কৃষ্ণসদা গ্রামে মসজিদের পাশে অরক্ষিত অবস্থায় একটি টিভিএস মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে গ্রামের লোকজন প্রকৃত মালিক না পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বুলবুল আমম্মেদকে প্রথমে জানায়। পরে লোকজন সহ ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মেদ মোটরসাইকেলটি ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেন। বর্তমানে ওই মোটরসাইকেলটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জমা আছে।

এবিষয়ে নুরুল ইসলাম বাবুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পরিষদে থাকা মোটরসাইকেলটি তাদের কিনা সেটি তার জানা নেই।

সাপাহার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আল মাহমুদ এবিষয়ে বলেন, মোটরসাইকেলটি গোয়ালা ইউনিয়ন পরিষদে জমা আছে তা এখন পর্যন্ত আমাদের জানানো হয়নি।