ধামইরহাটে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার শিকার ৫ জনের গণকবরের স্মীকৃতি ও স্মৃতিস্তম্ভ দাবী

মো. আবু মুছা স্বপন, নওগাঁ প্রতিনিধি
মো. আবু মুছা স্বপন, নওগাঁ প্রতিনিধি মো. আবু মুছা স্বপন, নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:৪৪ অপরাহ্ন, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ৫:৪৫ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

নওগাঁর ধামইরহাটে ১৯৭১ সালে ২৮ এপ্রিল বুধবার মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার প্রাক্তালে পিড়লডাঙ্গা গ্রামে বসবাসকারী বাঙালি মুক্তিফৌজ ৫ জনকে গণহত্যা করে নেউটা গ্রামের গোপায়ডাঙ্গাতে গনকবর দেয়া হয়েছিল। তারই স্বীকৃতি ও স্মৃতিস্তম্ভ দাবী করেছে এলাকাবাসী ও প্রয়াত ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা। ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি প্রাক্তন অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলামের উদ্যোগে স্থানীয় এলাকাবাসী, গণহত্যার শিকারদের পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় ৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টায় পিড়লডাঙ্গা নয়াপুকুর মোড়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধামইরহাট মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অফির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণকবরের স্মীকৃতি ও স্মৃতিস্তম্ভ দাবীকারীদের অন্যতম বরেন্দ্র জনপদের ইতিহাসবিদ মো. শহিদুল ইসলাম। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রইচ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, চকময়রাম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম খেলাল ই রব্বানী, প্রধান শিক্ষক এস এম মাহবুব উর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মানবাধিকার কমিশনের নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট আশরাফুদ্দৌলা নয়ন, শহীদ পরিবারের সন্তান এম এ মালেক, ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা মাসুদুর রহমান, রফিকুল আতিক কনক, ইউপি সদস্য জাকারিয়া হোসেন, মিজানুর রহমান, রেহেনা পারভীন, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি আবু মুছা স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরনে স্মৃতিস্তম্ভ নিমানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অফির উদ্দিনকে আহবায়ক কমিটির প্রধান, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামানকে সদস্য সচিব ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মছির উদ্দিন সরদারের ছেলে সাংবাদিক এম এ মালেককে সহ-সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ও ১৯ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা  কমিটি গঠন করা হয়।
বক্তাগণ ১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে বুধবার দিনে সাংবাদিক পিতা মছির উদ্দিন সরদারসহ ৫ জনকে মেরে ফেলে পাকিস্তারের পাঞ্জাবিরা, স্থানীয়ভাবে তাদের নেউটা গোপায়ডাঙ্গা গ্রামে গণকবর দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধে আতœহুতি দানকারীদের মৃত্যু পরবর্তী প্রকৃত সম্মাননা ও তাদের স্মরণে স্মৃতি স্তম্ভের দাবী জানান।