বাঘাইছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে জেএসএস কর্মী নিহত

আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ন, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২:৩০ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সুরেশ চন্দ্র চাকমা জীবেশ নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। 

শুক্রবার(১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার দুর্গম বঙ্গলতলি ইউনিয়নের বি-ব্লক এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, নিহত সুরেশ চন্দ্র চাকমা জীবেশ মূল জনসংহতি সমিতির অনেক পুরনো কর্মী এবং সাবেক গেরিলা সংগঠন শান্তিবাহিনীর সদস্য। তিনি বিভিন্ন সময়ে সাংগঠনিক নানান দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি উপজেলা কমিটিরসহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংগঠনটির বিচার কমিটির উপজেলা প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। সুরেশ তার বাড়ির কাছেই এক প্রতিবেশীর বাড়িতে রাত্রী যাপনকালে গুলিতে নিহত হয়েছেন।

প্রাণনাশের ভয়ে সুরেশ নিয়মিতই নিজ বাড়ির বাইরে রাত্রীযাপন করতেন বলেও জানিয়েছে সূত্রগুলো।

সকালে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে কোনো লাশেরও হদিস পায়নি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ধারণা, তারা পৌঁছানোর আগেই লাশ সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আনোয়ার হোসেন খান জানান, হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেটি পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে নিশ্চিতই বলা যায়। তবে লাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।স্থানীয়রাও এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে না।

নিহত সুরেশ সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছুই জানায়নি জনসংহতি সমিতি।

তবে সংগঠনটির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহতথ্য ও প্রচার সম্পাদক জুপিটার চাকমা জানান, নিজেদের মধ্যকার আভ্যন্তরীণ বিবাদে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ওই এলাকাটি সম্পূর্ণই জনসংহতির ঘনিষ্ঠ সংগঠন ইউপিডিএফ-এর নিয়ন্ত্রণাধীন।