সাপাহারে দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ!

মনিরুল ইসলাম,সাপাহার(নওগাঁ) প্রতিনিধি
মনিরুল ইসলাম,সাপাহার(নওগাঁ) প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম,সাপাহার(নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২:২৪ অপরাহ্ন, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ৪:১২ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে নওগাঁর সাপাহারে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। দূর্গাপূজার আরো বেশ কিছুদিন বাঁকী থাকলেও প্রতিমা তৈরীতে কোন অবহেলা নেই উপজেলার হিন্দু ধর্মবলম্বীদের মাঝে। এ যেন দুর্গোৎসবের আগেই মহোৎসবের আমেজ!

চলতি বছরে এই উপজেলায় মোট ১৭টি মন্দিরে উদযাপন হতে চলেছে সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা। উপজেলা সদরে অবস্থিত প্রায় প্রতিটি মন্দিরেই চলছে প্রতিমা তৈরীর উৎসব। বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন মৃৎশিল্পীরা। মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরী করছেন মা দূর্গার প্রতিমা। গত বছরে করোনার প্রভাব থাকার ফলে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়েছে দুর্গোৎসব। কিন্তু চলতি বছরে করোনার প্রভাব তেমন না থাকার ফলে দূর্গোৎসব অন্যান্য বছরের আনন্দ মুখর পরিবেশে পালিত হবে বলে জানান অনেকেই।

সরেজমিনে উপজেলার পালপাড়া, সাহাপাড়া, মানিকুড়া, তিলনা মন্দিরগুলো ঘুরে জানা যায়, এবছরে অনেক আগাম প্রতিমা তৈরীর কাজ করছেন মন্দির কমিটির সদস্যরা। বর্তমান সময়ে তেমন কারিগর সংকট না থাকলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিমা তৈরী করে নিচ্ছেন মন্দির কমিটির সদস্যরা।    

মৃৎশিল্পীদে কৈলাস ও গয়ার সাথে কথা হলে তারা জানান, বিভিন্ন জায়গায় রেডিমেড দূর্গা প্রতিমা বিক্রয় হয়। কিন্তু এদিক থেকে সাপাহার উপজেলা একদম ব্যতিক্রম। এই অঞ্চলে প্রতিটি মন্দিরেই প্রতিমা বানানো হয়। এবছরে বিভিন্ন স্থানে সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যে প্রতিমার অর্ডার পেয়েছেন বলেও জানান তারা। এছাড়াও অনেকে চাহিদা অনুযায়ী এসব প্রতিমার তৈরীর অর্ডার দেন।

মানিকুড়া  কবিরাজ পাড়া পূজা উদযাপন কমিটির কোষাধ্যক্ষ নিশিকান্ত দেবনাথ বলেন, চলতি বছরে স্থানীয় কারিগর দ্বারা প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে। যে কোন মূহুর্তে কারিগর সংকটে পড়তে হতে পারে বলে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিমা তৈরী নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্যরা।

উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জগন্নাথ দেবনাথ বলেন, বর্তমানে সাপাহার উপজেলায় ১৭টি পূজা মন্ডপে পূজা উদযাপন হবে। এবছরে করোনার তেমন প্রভাব না থাকার ফলে উৎসবের কোন ঘাটতি হবেনা । তবে কারিগর সংকট পড়ার আগে প্রতিমা তৈরী করে নিচ্ছেন হিন্দু ধর্মের লোকেরা।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, চলতি বছরে এই উপজেলায় মোট ১৭টি মন্দিরে দুর্গা পূজা উদযাপন হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা তৈরীর কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও প্রশাসনিক দিক থেকে সকল প্রকার সহযোগীতা অব্যহত রয়েছে।