পলাশবাড়ীতে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসক সংকট আর অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতায় চলছে

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ন, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২:৪৯ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৫টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ৩৩টি ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এছাড়াও মেডিকেল অফিসার ছাড়াই পরিচালনা হচ্ছে ৫টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর দায়ভার এড়িয়ে চলছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২ বছর পূর্বে একযোগে একজন করে মেডিকেল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু কাগজে কলমে নিয়োগ দেখিয়ে ডিপুটিশনে সকলেই কাজ করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ফলে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো হতে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার দরিদ্ররা মানুষরা। 

সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঠিক তৎপরতা না থাকায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ক্লিনিক গুলো নিজেদের খেয়াল খুশি মতো খুলছে ও বন্ধ করা হচ্ছে। 

২৬ সেপ্টেম্বর রবিবার সাবদিন ভগবতীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগী অপেক্ষামান অবস্থায় ক্লিনিকটি বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে ১২টার দিকে উপজেলার আমলাগাছী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন ও বাউন্ডারীর ভিতরে আগাছায় ভরপুর। মেইন গেইটে ব্যবসায়ী বা দোকানীদের ফেলানো ময়লা-আবর্জনার স্তুপ জমানো।

উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির ফার্মাসিস্ট রফিক জানান, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ৪ জন স্টাফ আছে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার টিটন কুমারকে কোনদিনই দেখিনি বা তাহাকে চিনিনা। 

অপরদিকে মহদীপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার সিএইচসিপি আব্দুর রাজ্জাক নেই। তার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি ব্যক্তিগত কাজে বাড়ীতে এসেছি। তবে দেখা যায়, ক্লিনিকটির আশে-পাশে ময়লা আবর্জনা ও লতাপাতায় ভরপুর। সেদিন টিকাদান কর্মসূচির স্বাস্থ্য সহকারী স্বপ্না খাতুনকে পাওয়া যায়। তিনি জানান, ক্লিনিকটি সমস্যায় জর্জরিত। ক্লিনিকে টিউওয়েল, বাথরুম ও টয়লেট নেই। পরিচ্ছন্নতা কর্মী না থাকায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নেই। 

এব্যাপারে উক্ত ক্লিনিক গুলোর তদারকীতে থাকা হেলথ্ ইন্সেপেক্টর ফিরোজ কবীর জানান, জনবল সংকটের কারণে এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমার একার পক্ষে এতোসব সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ আনিছুর রহমান জানান, মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেওয়া থাকলেও লোকবল সংকটের কারণে তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। 

ক্লিনিকগুলো অনিয়মিতভাবে খোলা ও বন্ধ করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, জনবল সংকটের কারণেই এসব সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। একটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিকে ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে।