সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী রেজা আছেন আলোচনার শীর্ষে

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ন, ০২ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ৪:৪১ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

দীর্ঘ ৫ বছর পর গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। 

কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পদ প্রত্যাশীরা নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক যোগাযোগ যেমন বাড়িয়েছেন, তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন সক্রিয়। ব্যানারে রঙিন হয়ে উঠেছে পৌর সড়কের মোড়গুলো। প্রচার চালানো হচ্ছে ফেসবুকেও।

কাউন্সিল ঘিরে সুন্দরগঞ্জের রাজনীতিতে নানা মেরুকরণও শুরু হয়েছে। কার সঙ্গে কে থাকবেন ? কে প্রার্থী হলে কারা সমর্থন দেবেন? চলছে সেই হিসাব-নিকাশ। তবে শীর্ষ দুই পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়েই সমীকরণটা কিছুটা জটিল। সভাপতি পদ প্রত্যাশী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মিসেস আফরোজা বারীর কোনো বিকল্প নেই বলে জোরদার আলোচনা চলছে। অন্য দিকে, এক সময়ের তৃণমূল থেকে উঠে আসা ক্লিন ইমেজের নেতা রেজাউল আলম রেজাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাচ্ছেন প্রবীণ রাজনীতিবীদগণ । 

এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক নেতা বর্তমানে ছোটোছুটি করলেও, অভিযোগ আছে তাদের অধিকাংশই ছিল সুবিধাবাদী। তবে তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে উঠে এসে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল আলম রেজা আছেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার শিরোনামে আছেন রেজা। 

জানা গেছে উপজেলায় গত ২০০৩ সালে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটি গঠন হয়। পরে ২০১৬ সালে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও কাউন্সিল অধিবেশন না হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয় নি। সেই তৎকালীন সময়ে অর্থাৎ ২০১৬ সালেও সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশী হিসেবে রেজাউল আলম রেজার জনপ্রিয়তা নেতাকর্মীদের মাঝে ছিল আকাশচুম্বী। এবারো বুক ভরা আশা নিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে বেশ তৎপর আছেন ক্লিন ইমাজের শক্তিশালী প্রার্থী রেজা। তার সমর্থকরা মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার শুরু করেছেন জোড়ালো ভাবে । 

কেমন নেতৃত্ব চান? জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী রেজাউল আলম রেজা বলেন, ‘সুন্দরগঞ্জের তৃণমূল নেতাকর্মীরা চান সুবিধাবাদী, দখলবাজ, মাদককারবারী ও সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকরা যাতে কেউ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নেতৃত্বে আসতে না পারেন। এক কথায় হাইব্রিডরা কেউ যেন পদ বাগিয়ে নিতে না পারে, এ ব্যাপারেও কেন্দ্রের সজাগ থাকা জরুরি।'

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে কিছু অনুপ্রেশকারীদের হিংস্র থাবায় হাবুডুবু খাচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মী। আমি ‘একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রেখে রাজনীতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং তাদের নূন্যতম চাওয়া পাওয়া ও দুঃখ্য-কষ্ট সমাধান করার চেষ্টা করি আমার জায়গা থেকে। এছাড়াও যেহেতু তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে উঠে এসেছি, তাই তৃণমূলের সমস্যা ও দুঃখ-কষ্ট বুঝি। সেই বিবেচনায় যদি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হতে পারি তবে মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করতে পারব।’

দহবন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশেক আলী জিকু বলেন, রেজাউল আলম রেজা ‘অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও দল ছেড়ে চলে যায়নি বা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েনি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেছে এবং দলের জন্য এখনো সরব রয়েছে। এমন ক্লিন ইমেজের নেতা রেজাকে সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দেখতে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।’

সুন্দরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসানুল করীম চাঁদ জানান,‘সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ সংগঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি পদে যদি বিতর্কিত মুক্ত সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করা যায়, তবে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে এবং সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের আস্থা আরও বাড়বে।’ রাজনীতির মাঠে সভাপতি হিসেবে মিসেস আফরুজা বারী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রেজাউল আলম রেজার বিকল্প নেই বলে দাবী করেন তিনি। 

উল্লেখ্য যে, সূত্র মারফত জানা গেছে সুন্দরগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ৫৯০ জন কাউন্সিলর দিয়েই এবারের উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।