তারাগঞ্জে ফেলে যাওয়ার ৩ মাস পর অজ্ঞাতনামা বৃদ্ধার মৃত্যু

দিপক রায়, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
দিপক রায়, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি দিপক রায়, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:১৮ অপরাহ্ন, ০৪ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ৩:৩৫ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের গলাকাটা মোড়ের নৈশ প্রহরীদের জন্য বানানো ঘরে ৩ মাস আগে এক বৃদ্ধাকে ফেলে দিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক পথচারী ও স্থানীয়দের সহায়তায় সেই ঘরটি পলিথিন দিয়ে ঘিরে বৃদ্ধার বসবাসের উপযোগী করে দেন। আজ সোমবার সকালে সেই ঘরে অজ্ঞাতনামা সেই বৃদ্ধাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

সরেজমিনে স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক ৩ মাস আগে কে বা কারা এখানে এই বৃদ্ধাকে ফেলে রেখে যায়। পরিবার এমনকি নিজের নামটাও বলতে পারেন না বৃদ্ধা। ঠিকানা বলতে শুধু সৈয়পুরের নাম বলতেন। এই পধ দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারীরা যেনি খেতে েিতা সেদিন খেতেন, যেদিন েিতা না সেদিন কিভাবে থাকতেন কেউ জানেন না। রবিবার দিবাগত রাতে এই এলাকায় সারারাত ভারি বৃষ্টিপাত হয়। সোমবার সকালে কয়েকজন কৃষক ধানÿেত দেখতে গিয়ে ওই বৃদ্ধার খবর নিতে গেলে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। 

তারাগঞ্জ উপজেলার স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন তারাগঞ্জ বস্নাড গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠাতা মাহিন বাবু কাঞ্চন বলেন, খবর পেয়ে রবিবার আমরা ওই বৃদ্ধাকে দেখতে যাই। আমরা পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি বৃদ্ধাশ্রমের সাথে এই বৃদ্ধাকে রাখার বিষয়ে কথাও বলেছি। বৃদ্ধার শারিরীক অবস্থা একেবারেই খারাপ থাকায় আমরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করি এবং কিছু ওষুধপত্র কিনে দিয়ে যাই। বৃদ্ধা একটু সুস্থ হলেই তাকে আমরা বুদ্ধাশ্রমে রেখে আসতাম। কিন্তু আমরা সেই সুযোগ পেলাম না। 

এবিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ফারম্নক আহম্মেদ বলেন, বৃদ্ধার মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। বার্ধক্যজনিত কারণে বৃদ্ধার মস্ত্মিষ্ক বিকৃত হওয়ার কারণে তিনি তার নাম পরিচয় বলতে পারেন নি। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় অজ্ঞাতনামা ওই বৃদ্ধার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।