চাচাকে হত্যার ১১দিন পর ভাতিজাকে আটক করলো পুলিশ

এ,এল,কে খান জিবু, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
এ,এল,কে খান জিবু, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি এ,এল,কে খান জিবু, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ন, ০৯ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ৬:২৪ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী এলাকায় আব্দুল মালেক (৪৫) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী নিহতের আপন ভাতিজা সোহেল রানাকে (১৯) এগারো দিন পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে দোয়ানী এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

নিহত আব্দুল মালেক দোয়ানী গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। আব্দুল মালেক একজন কৃষক। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী গ্রামে গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে নিজ বাড়ীর সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন আব্দুল বারেকের ছেলে আব্দুল মালেক (৪৫)।

তার পরদিন পাঁচজন প্রতিবেশীকে আসামী করে হাতীবান্ধা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আব্দুল বারেক।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, পার্শ্ববর্তী একটি পরিবারের সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে এবং তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

ঘটনার ১১ দিন পর শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে নিহতের ভাতিজা সোহেল রানাকে আটক করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। পরে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে চাচাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।

এর আগে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিককে ঘটনার মুল আসামীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মানসিক ক্ষোভ থেকেই তার চাচাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল। বাজার থেকে একটি হাতুড়ি কিনে সন্ধ্যার পর বাড়ির সামনে বসে থাকা চাচা আব্দুল মালেকের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুরীটি পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। ওই ডোবা থেকে হাতুড়ীটি উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, আটকের পর হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সোহেল রানা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি আরও জানান, এর সাথে আরো কেউ জড়িত কি না সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আজ শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।