সাপাহারে বাগান পরিচর্যায় ব্যাস্ত আমচাষীরা

মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি
মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:৫৫ অপরাহ্ন, ২৮ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ৬:২৩ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

আমের রাজধানী খ্যাত নওগাঁর সাপাহারে চলতি বছরে ব্যাপক আমের ফলন হওয়ায় ও অধিক মুনাফা পাওয়ায় সন্তুষ্ট এলাকার আমচাষীরা। এরই ধারাবাহিকতায় সামনে বছরে আম উৎপাদনের ধারা অব্যহত রাখতে এবং ভালো ফলনের আশায় আবারো আমের গাছ পরিচর্যায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন এলাকার আমচাষীরা। রীতিমত গাছে কীটনাশক প্রয়োগে সহ  আম গাছের নানাবিধ পরিচর্যায় ব্যাস্ততম সময় পার করছেন স্থানীয় পেশাদার আমচাষীরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রানুযায়ী এবছরে উপজেলায় মোট ১০হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের আম। যার মধ্যে বারোমাসি কার্টিমন জাতের আম চাষ হচ্ছে ৫হেক্টর জমিতে।

এলাকার আমবাগান গুলো ঘুরে জানা যায়, এসময় গাছে অনেক ধরণের পোকা মাকড় বসে গাছের পাতা কেটে নষ্ট করে দেয়। তাই মৌসুম শুরু হবার আগে থেকেই কীটনাশক স্প্রে করে গাছের রোগ বালাই দূর করাতে ব্যাস্ত চাষীরা। এই উপজেলার আমের সুনাম রয়েছে দেশ-বিদেশে। আর এই সুনাম ধরে রাখতে যেন চেষ্টার ত্রুটি নেই চাষীদের। এছাড়াও আম গাছে পোকা মাকড়ের আক্রমণ ক্রামগত বাড়লে এবং তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা না নিলে গাছের আম উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায় বলে জানান আমচাষীরা।

ইসলামপুর গ্রামের আমচাষী মাহফিজুর রহমান জানান, এবছরে গাছে রোগ বালাইয়ের মধ্যে ছত্রাক রোগ দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও মাকড় ও উইল্ট পোকার আক্রমনের ফলে গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। যার কারনে মৌসুম শুরুর আগেই এসব পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষা করার লক্ষ্যে গাছে নানা গ্রুপের কীটনাশক প্রয়োগ করছেন তিনি।

আমচাষী আনোয়ার হোসেন বলেন, আম চাষে যেমন লাভের পরিমাণ রয়েছে ঠিক সেভাবে আম গাছের পরিচর্যায় খরচও রয়েছে ব্যাপক। মৌসুমের আগে থেকেই শুরু করে আম হারভেষ্ট করা পর্যন্ত আম গাছের নানা রোগ ব্যাধি লেগেই থাকে। যার ফলে বাগানের প্রতিটি গাছেরই ব্যাপক পরিচর্যা করতে হয়। যাতে করে খরচের পরিমাণ নেহায়তই কম না।

উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আতাউর রহমান সেলিম জানান, বর্তমানে এই উপজেলায় মোট ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বারোমাসি কার্টিমন জাতের আম রয়েছে ৫ হেক্টর জমিতে।  বর্তমানে আশ্বিনা জাতের কিছু আম গাছে মুকুল আসছে। যার জন্য ব্যাপক পরিচর্যা করতে হচ্ছে আম গাছের। রোগবালাইয়ের প্রতিকার সম্পর্কে তিনি জানান, আমচাষীদের এবছরে আমের ছত্রাক জনিত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ম্যানকোজেভ গ্রুপের কীটনাশক ও পোকা মাকড়ের জন্য সাইফারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ব্যাবহারে জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আমচাষীদের উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে নানাবিধ পরামর্শ কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।