গোবিন্দগঞ্জে নার্সারি ও ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন করে স্বাবলম্বী প্রায় দেড় শতাধিক যুবক

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪:১২ অপরাহ্ন, ১২ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ৪:৪২ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

জীবনে সফল হতে সঠিক পরিকল্পনা ও মনোবল নিয়ে নার্সারি করে নিভৃত গ্রামের অনেক বেকার যুবকের ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের প্রায় দেড় শতাধিক বেকার যুবক নার্সারি ও ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন করে নিজের জীবনের গতি পরিবর্তন করে স্বাবলম্বী হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কালীতলা কৃষি যুব উন্নয়ন ক্লাবের সভাপতি মো. বেলাল হোসেনের উদ্যোগে ও সহযোগীতায় দরবস্ত ইউনিয়নের দূর্গাপুর ও সিংদানী গ্রামের আজাদুল, বুলু, সুজন, কাফি, আয়নুল, রুবেল, সোহেলসহ প্রায় শতাধিক বেকার যুবক নার্সারির চারা উৎপাদন ও বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছে। এসব নার্সারিতে ফলজ বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে আম, জাম, তীনফল, ড্রাগন, রামবুটান, এভোকাডো, পিচ, আপেল, আঙুর ইত্যাদি। ঔষধির গাছের মধ্যে অর্জুন, আমলকি, হরিতকি, বহেরা, নিম, জয়তুন ও পাথরকুচিসহ নানা প্রজাতির গাছের চারা। কাঠবৃক্ষের মধ্যে রয়েছে মেহগনি, সেগুন ও রেইন্ট্রি চারা। মসলা জাতের মধ্যে তেজপাতা, দারুচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ প্রভৃতি। এছাড়া আরও বেশকিছু জাতের চারা রয়েছে নার্সারিগুলোতে। আর এসব নার্সারির চারা যেন শোভাবর্ধন হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এতে করে দৃষ্টি কাড়ছে অনেকের। আবার প্রাণ জুড়াতে কেউ কেউ ঘুরে দেখেন, কেউবা কিনে নিচ্ছেন নানান জাতের চারা। এগুলো বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পাইকারি মূল্যে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও খুচরা বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে শ্রমিক, সার-কিটনাশক খরচ বাদে মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা লাভ হয়। 

অপরদিকে একই ইউনিয়নের বেলাল হোসেন সামসুল, ভুলু, আয়েশ বাকীসহ প্রায় ৫০ জন বেকার যুবকের জীবন চিত্র বদলে দিয়েছে ভার্মিকম্পোস্ট (কেঁচো সার) খামার। ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন তারা। এই কম্পোস্ট বিক্রি করে মাসে এখন তারা আয় করছেন ১০ হাজার টাকা।

সরেজমিন উক্ত গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই বাড়ির উঠানে একচালা টিনের ঘর করে রিং ও স্লাব দিয়ে উৎপাদন করছে ভার্মি কম্পোস্ট। 

এবিষয়ে কালীতলা কৃষি যুব উন্নয়ন ক্লাবের সভাপতি ও বেকার যুবকদের স্বাবলম্বীদের উদ্যোক্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করে আমি বেশ লাভবান হয়েছি। প্রতি কেজি সার ৮/১০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আমি প্রতি মাসে প্রায় ৩০/৪০ হাজার টাকা বাড়িতে বসে আয় করতে পারছি। আমি আমার সহযোগীতায় এলাকার আরও ৫০ জন বেকার যুবকদের ভার্মিকম্পোস্ট সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী করে তুলেছি।