'গরিব বলে গরিবের কষ্ট বুঝি'
আমি গরিব, তাই গরিবের দুঃখ আমিই বুঝব। অন্যরা বুঝবে না।’ দৃঢ প্রত্যয় নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন আসন্ন নজিপুর ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রার্থী দেওয়ান মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক।
দেওয়ান সিদ্দিক ৮ নং নজিপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। অল্প লেখাপড়া জানা পেশায় ভ্যানচালক ও খড় ব্যবসায়ী। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী।
দেওয়ান সিদ্দিক বলেন আমি গরীব মানুষ আমি টাকা দিয়ে ভোট কিনতে পারবো না। যারা টাকা দিয়ে ভোট করে নির্বাচনের পরে তাদের টাকা তোলার চেষ্টা থাকবে বিনা মূল্যে পাওয়া স্থানীয় সরকারের সুবিধা গুলো নিতে সমস্যায় পরতে হবে। তাই আমি টাকা দিতে পারবো না টাকা নিবোও না।
তিনি বলেন ওয়ার্ডবাসী যদি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন তাহলে সরকারী যেসব সেবা বা সুবিধা আসবে সেগুলো যেমন বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, মাতৃত্বকালীন, ভিজিডি,ভিজিএফ, সহ বিভিন্ন অনুদান, রিলিফ, সেবা কোন হয়রানি বা টাকা পয়সা ছাড়াই পাবেন সরকারের বিণামূল্যের সেবা বিণামূল্যেই পাবেন। তিনি ওয়ার্ড বাসিকে অনুরোধ করেন একটি বার তাকে সুযোগ দেবার জন্য যদি কথা না রেখন আগামীতে নিজেই সরে যাবেন।
নির্বাচনে জয়ী হবেন কি না, জানতে চাইলে সিদ্দিক বলেন, ‘অন্য প্রার্থীদের তুলনায় হয়তো তাল মিলিয়ে দৌড়াতে পারব না। কিন্তু চেষ্টা করতে তো বাধা নেই।’ তবে তিনি আশাবাদি ওয়ার্ডবাসি তাকে ভোট দিবেন।
ওই ওয়ার্ডে সিদ্দিক সহ আরো ৮ সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন বর্তমান ইউপি সদস্য মানিক হোসেন, সাবেক মেম্বার রনজিৎ কুমার মন্ডল , দেওয়ান আব্দুল লতিফ,দিলিপ কুমার, মুক্তার হোসেন, সাদ্দাম হোসেন। সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী বর্তমান নারী সদস্য ফারজানা বিবি, শামসুন্নাহার, খুশি তারাও দোয়া সমর্থন চেয়ে ভোটারদের সাথে গণসংযোগ করছে।
ওই ওয়ার্ডের একাধিক ভোটাররা জানান বিপদে আপদে সুখে দুখে যে আমাদের পাশে থাকবে টাকা পয়সা ছাড়া যে আমাদের কাজ করে দিবেন এরকম যোগ্য কাউকে এবার তার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
তবে এই ইউনিয়নের এখনো নির্বাচনী তফশীল ঘেষনা হয়নি দেশে এখন ৪র্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন চলছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. জাহিদুর রহমান জানান নজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ৫ম ধাপে হতে পারে।