ধামইরহাটে খেলনা ইউপি নির্বাচনে অনিয়মের তদন্তু শুরু-আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁর ধামইরহাটের খেলনা ইউনিয়নে মৃত ও বিদেশে অবস্থানরতদের ভোট কাস্টিং, অনিয়ম ও জাল ভোটসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপূরে ঢাকা নির্বাচন অফিস থেকে নওগাঁ জেলা নির্বাচন অফিসে এই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
নওগাঁর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহম্মুদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধামইরহাটের খেলনা ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনে অনিয়ম ও জাল ভোটসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে সভাপতি ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে (তাঁকে) সদস্য সচিব করে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশণা দেওয়া হয়েছে।
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনিয়ম ও জাল ভোটসহ বিভিন্ন অনিময়ের মাধ্যমে কৌশলে নৌকার প্রতীকের প্রার্থীকে নির্বাচনে পরাজিত করা হয়েছে এমন অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচনে পরাজিত নৌকার প্রার্থী নাজমুল হোসেন পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে ২৮ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, নির্বাচনে ভগবানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৩শ’ ২ জন। ভোট কাস্টিং দেখানো হয়েছে ১ হাজার ২শ’ ৯১জন। অর্থাৎ ভোট কাস্টিং এর হার ৯৯.১৬। বাতিল ভোট দেখানো হয়েছে ১শ’ ৭৫টি। নির্বাচনে ভোট না প্রদানের জন্য ১১জন ভোটার অনুপস্থিতি দেখানো হয়েছে। ওই কেন্দ্রের ভোটার ২৫ জন মৃত ভোটার রয়েছেন ও বিদেশে অবস্থান করছেন ৭ জন। অর্থাৎ মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসী মিলে ৩২ জন এবং সরকারী চাকুরিজীবি আরও ৩৭ জনের ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে, যা কোনভাবেই সম্ভব নয়। অথচ একই কেন্দ্রে মাত্র ১১জন ভোটারের অনুপস্থিতি দেখানো হয়েছে। ভগবানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম মেমোরিয়াল কলেজের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান দায়িত্ব পালন করেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর খেলনা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নাজমুল হোসেন, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসাবে আব্দুস সালাম, আনারস প্রতীক নিয়ে আলহিল মাহমুদ চৌধুরী এবং লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে আবুল হোসেন প্রতিদ্বিন্দ্বীতা করেন।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহিল মাহমুদ চৌধুরী ৩ হাজার ৭শ’ ৯৯ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বিন্দ্বী নৌকা প্রতীক নিয়ে নাজমুল হোসেন পান ৩ হাজার ৬শ’ ১৬ ভোট।