ধামইরহাটে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যু্বদল নেতা পাষন্ড স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ

নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ প্রতিনিধি নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ন, ০৪ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ৪:৩৩ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

ধামইরহাট নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাটে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে শশুরের দায়ের করা মামলায় যুবদল নেতা ও পাষন্ড স্বামী মোস্তফা কামাল সরকার ওরফে রিভেন মাস্টারকে আটক করেছে পুলিশ। ৪ নভেম্বর মধ্যরাতে উপজেলার চককালু গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সকালে এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত লোক কৌতুহল নিয়ে ছুটে আসে ওই বাড়ীতে। পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফতাব উদ্দিন, ওসি মোজাম্মেল হক কাজীসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ বছর পূর্বে জয়পুরহাট সদরের বাঁশকাটা গ্রামের আবু বক্করের মেয়ে রেশমা খাতুন (৩০) এর সাথে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের আবুল কালাম সরকারের ছেলে শিশু দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ও আলমপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোস্তফা কামাল সরকার ওরফে রিভেন (৪০) এর সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের পর এক সন্তানের জননী রেশমাকে তুচ্ছঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়শ মারপিট করে স্বামী মোস্তফা কামাল রিভেন। এমতাবস্থায় ৩ নভেম্বর দিবাগত রাত ১ টার দিকে রেশমা খাতুন স্ট্রোক করেছে বলে শশুর বাড়ী থেকে খবর জানালে শশুর আবু বক্কর দ্রুত মেয়ের বাড়ী এসে তাকে মৃত দেখতে পায় এবং গৃহবধুর মাথায় ও মুখ আঘাতে চিহ্ন দেখে সন্দেহ হলে জামাই মোস্তফা কামাল সরকার ওরফে রিভেনকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে স্বামী জানান যে, তার স্ত্রী আত্নহত্যা করেছে, কিন্তু তাতে শশুর আবু বক্কর বিশ্বাস করতে না পেরে থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্বামী মোস্তফা কামালকে আটক করে।
খুন হওয়া গৃহবধুর আপন ভাইয়ের স্ত্রী আসুমা খাতুন জানান, ‘৪লক্ষ টাকা যৌতুক চুক্তিতে বিয়ের পরেই ২ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, আবারও টাকার জন্যই তাকে মারতো বলে আমার কাছে আমার ননদ প্রায়ই আমার কাচে বলতো।’ এদিকে সাড়ে ৪ বছরের শিশুও জন্মদাতা বাবাকে বিশ্বাস করতে পারছে না, খুনের জন্য দায়ি করছেন বাবাকেই। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে খুন হওয়া গৃহবধু রেশমার বাবা আবু বক্কর বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী জানান, বাদী কর্তৃক খুনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে।