বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি ব্যারাকে শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা

চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ  দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:১৭ অপরাহ্ন, ১৮ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ৮:১৭ অপরাহ্ন, ১৮ জুলাই ২০২১

দিনাজপুরের বড় পুকরিয়া কয়লা খনিতে একজন নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যুতে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকদের দাবী খনি কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পার্বতীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিদ কায়সার রিয়াজ ও ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান আসাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মৃত শহিদুলের মরদেহ এখনও খনির ভিতরেই রয়েছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রথম ফ্যাজের চীনা শ্রমিকদের একটি ব্যারাক যা বর্তমানে পরিত্যক্ত সেই ব্যারাকেই বিভিন্ন পদের অনেক শ্রমিক বাস করছে। ঐ ব্যারাকেই শহিদুল ইসলাম (৪৫) পিতা মোজাফ্ফর হোসেন, আবদুলপুর চিরিরবন্দর করোনার পর থেকেই অন্যান্যদের সাথে অবস্থান করছিল।

১৯৯৮ সাল থেকে থার্ডপাটি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে কর্মরত শহিদুল শনিবার বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে বিশ্রাম নেয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। শ্রমিকদের অভিযোগ খনি কর্তৃপক্ষের কাছে এ্যাম্বুলেন্সের জন্য মোবাইল করা হলে তারা কোন কর্ণপাত করেনি। এক পর্যায়ে সহকর্মী শওকতের বুকে শোয়া অবস্থায় শহিদুল মৃত্যুর মুখে ঢোলে পড়ে।

খনি কর্তৃপক্ষের শ্রমিকের প্রতি অবহেলায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সকল শ্রমিক। এক পর্যায়ে নিরাপত্তা ইনচার্জ হাসান ইমামের উপর আক্রমণ চালায় ক্ষিপ্ত শ্রমিকেরা। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তিন বছর আগে এই ব্যারাকেই ধনঞ্জয় চন্দ্র রায় নামে আরো এক শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছিল। চীনাদের ছেড়ে যাওয়া ব্যারাকটি বসবাসের অনুপযোগী হওয়ার পরও খনি কর্তৃপক্ষ সেখানে শ্রমিকদের থাকার অনুমতি দিয়েছে।

উল্লেখ্য মৃত শহিদুলসহ আরো অনেক শ্রমিক ১৯৯৮ সাল থেকে কর্মরত থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হচ্ছে না। এ নিয়ে শ্রমিকেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক শ্রমিককে স্থায়ী না করায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

রাত সাড়ে আটটায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে খনি কর্তৃপক্ষের সাথে শ্রমিক নেতাদের বৈঠক চলছিল।