কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পুলিশকে ধাওয়া দেয়ার ঘটনায় ১২জনের নামে মামলা

এ আর রাকিবুল হাসান ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
এ আর রাকিবুল হাসান ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি এ আর রাকিবুল হাসান ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:২৭ অপরাহ্ন, ২৬ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১০:২৭ অপরাহ্ন, ২৬ জুলাই ২০২১

লকডাউনে বাজারে জনসমাগম রোধ করতে গিয়ে জনতার ধাওয়ার শিকার হয় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার এএসআই বুলবুল ইসলাম এবং কনস্টেবল আজমাইন ইসলাম। রবিবার সন্ধায় কচাকাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে সরকারী কাজে বাঁধা দেয়ার অপরাধে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫/২০জনকে আসামী করে কচাকাটা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। কচাকাটা থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার এ মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, চলমান লকডাউন কাযর্কর এবং স্বাস্থ্য বিধি মানাতে গত ২৫ জুলাই রবিবার সন্ধায় কচাকাটা বাজারে দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন এএসআই বুলবুল ইসলাম এবং কনস্টেবল আজমাইন ইসলাম। দ্বায়িত্ব পালনকালে গরুর হাটের দিকে ব্যাপক জনসমাগম দেখতে পান তারা। সেই জনসমাগম রোধ করা এবং স্বাস্থ্য বিধি মানাতে যান।

এসময় কয়েকজন জনতা দৌড়ে পালানোর সময় তাদের মধ্যে একজনের হাতে থাকা বাজার মাটিতে পড়ে যায়। এসময় কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে উল্টো এএসআই বুলবুল ইসলাম ও কনস্টেবল আজমাইনকে ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে এএসআই বুলবুল কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সড়কের পাশে অবস্থিত তার ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেন।

এসময় উত্তেজত জনতা লাঠিসোটা নিয়ে তার বাসার সামনে অবস্থান নেয় এবং বাসার গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম সহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে এএসআই বুলবুলকে থানায় নিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা সোমবার সকাল ১১টায় ঘটনাস্ল পরিদর্শন করেন  এবং স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেন।

পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা মামলা দায়ের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কচাকাটা হাটে মানুষের সমাগম রোধে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছিল। এসময় হাটের কিছু দুষ্টু লোক গুজব ছড়িয়ে দেয় হাটে এসে পুলিশ মারপিট করছেন। ফলে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।