গাইবান্ধায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ন, ১৬ জুন ২০২১ | আপডেট: ১০:৫৬ অপরাহ্ন, ১৬ জুন ২০২১

গাইবান্ধায় করোনার উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে জনসমাগমপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা, সচেতনতামূলক প্রচারণাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জেলা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় হয়।


সভায় সভাপতিত্ব করেন করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জেলা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ্ সারোওয়ার কবীর, পৌর মেয়র মো. মতলুবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. আ.ম আখতারুজ্জামানসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলার সার্বিক কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন জানিয়েছেন, গত ঈদের পর থেকে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জেলায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে জেলা সদরসহ সব উপজেলায় তদারকি বাড়ানো হবে। সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সামাজিক সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ছাত্র ও যুবকদের মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করতে প্রচার-প্রচারণা ও সমন্বয় জোরদার করা হবে।এ ছাড়া গাইবান্ধা জেলার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং জেলায় নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি এবং পর্যায়ক্রমে আক্রান্ত এলাকা লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জেলা কমিটি।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৩০ জন। নতুন করে ৯ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭৫৫ জন। মারা গেছেন ২০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৫৫ জন।