কঙ্গোর বাস্তুচ্যুত ৫ লাখ মানুষের আশ্রয় নিয়ে শঙ্কিত জাতিসংঘ

newsdesk
newsdesk newsdesk
প্রকাশিত: ১:০৪ পূর্বাহ্ন, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ১২:৫৯ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা শুক্রবার জানিয়েছে, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলে সহিংসতায় গোমা’র আশপাশের বাস্তুচ্যুত ৫ লাখের বেশি মানুষের আশ্রয় নিয়ে সংস্থাটি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
জাতিসংঘ মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, গোমার চারপাশে ক্রমবর্ধমান হুমকির সম্মুখীন বাস্তুচ্যুত মানুষের অনিশ্চিত অবস্থা উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। খবর সিনহুয়া’র।
ওসিএইচএ বলেছে, ‘কিভুর উত্তরে মাসিসি ও রাতশুরু অঞ্চলে কঙ্গোলিজ সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র  গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে পালিয়ে যাওয়া ৫ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে বর্তমানে নগরীর চারপাশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে। মার্চের শুরু থেকে, গোমার ও এর আশেপাশে বাস্তুচ্যুতদের স্থানগুলোতে বেশ কটি গোলাগুলি ও দুর্ঘটনাজনিত গ্রেনেড বিস্ফোরণে আটজন নিহত ও ৩৪ জন আহত হয়।
কার্যালয় বলেছে, এসব গোলাগুলি ও বিষ্ফোরণ শুধুমাত্র ফ্রন্টলাইনের কাছে ক্রমবর্ধমান বাস্তুচ্যুত লোকদের সম্পূর্ণ ঝুঁকির মধ্যে ফেলেনি বরং শরনার্থী শিবিরগুলোতে অস্ত্রের উপস্থিতিও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
কঙ্গো সরকার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে গ্রামবাসীদের ওপর বেশ ক’টি আক্রমণ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে না পারার অভিযোগে দেশটিতে অবস্থিত জাতিসংঘ মিশনের ‘এমওএনইউএসসিও’ নামে পরিচিত মিশন থেকে শান্তিরক্ষীদের চলে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। ইতোমধ্যে শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রত্যাহারের অনুমোদন দিয়েছে এবং মিশন তা মেনে নিয়েছে।